চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম শিথিল করার প্রস্তাব

কলকাতা: চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম বা সিবিসিএসের সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছে না কলেজগুলি। বিশেষ করে উপস্থিতির হারে কড়াকড়ি করে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক চাপের মুখে পড়ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাবাজার ক্যাম্পাসে সিবিসিএস বিষয়ক একটি কর্মশালায় এই সমস্যাগুলিই তুলে ধরল কলেজগুলি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজের অধ্যক্ষরা আবেদন করেন, হাজিরার কড়াকড়ি তুলে দেওয়া হোক। শুধু

চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম শিথিল করার প্রস্তাব

কলকাতা: চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম বা সিবিসিএসের সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছে না কলেজগুলি। বিশেষ করে উপস্থিতির হারে কড়াকড়ি করে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক চাপের মুখে পড়ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাবাজার ক্যাম্পাসে সিবিসিএস বিষয়ক একটি কর্মশালায় এই সমস্যাগুলিই তুলে ধরল কলেজগুলি।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজের অধ্যক্ষরা আবেদন করেন, হাজিরার কড়াকড়ি তুলে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, সেমেস্টার পদ্ধতিও তুলে দেওয়ার আবেদন করেছেন কেউ কেউ। পার্ট ওয়ান-পার্ট টু’র বার্ষিক পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সার্বিকভাবে এর থেকে স্পষ্ট, সিবিসিএস পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে প্রস্তুতির অভাব রয়ে গিয়েছে। আবার উল্টো দিক থেকে দেখতে গেলে, বাস্তব সমস্যা না দেখেই সিবিসিএস পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরে।

কয়েকটি কলেজ এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করে। বলা হয়, ৬০ শতাংশ ন্যূনতম হাজিরার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক। কারণ, অনেক যুবক-যুবতীকে অন্যান্য কাজ করার সঙ্গেই কলেজে পড়তে হয়। তাঁদের পক্ষে ৬০ শতাংশ হাজিরা ধরে রাখা সম্ভব নয়।

এখন ৬০ শতাংশ বা তার বেশি হাজিরার জন্য ৬ নম্বর, ৭০ শতাংশ বা তার বেশি হাজিরার জন্য ৭ নম্বর এবং ৯০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বরের জন্য ১০ নম্বর ধার্য করা রয়েছে। এর ফলে হাজিরা কম থাকা পড়ুয়াদের শুধুমাত্র পরীক্ষায় বসা নিয়েই সংশয় তৈরি হয় না, তাঁরা নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েন। এই ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাঁরা সরকার তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হাজিরা নিয়মিত করার জন্য একটি অভিন্ন নির্দেশিকা চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 11 =