কলকাতা : মিড ডে মিলের নজরদারিতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ মিড ডে মিলের নজরদারি বাড়াতে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হচ্ছে বলে খবর৷ রাজ্যস্তর থেকে স্কুলস্তর পর্যন্ত কমিটিগুলি গঠিত হচ্ছে৷ মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি যেমন রাজ্যস্তরে মিড ডে মিলের কাজ পর্যবেক্ষণ করবে, তেমনই স্কুলে এই কমিটির মাথায় থাকবেন প্রধান শিক্ষক৷
মিড ডে মিল নিয়ে মাঝে মাঝেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে৷ কয়েক মাস আগে উত্তরবঙ্গের বহু স্কুলে ১৫ দিন পর্যন্ত মিড ডে মিল বন্ধ ছিল৷ তাই মিড ডে মিলের সরবরাহ ঠিক রাখতে ও দুর্নীতি বন্ধ করতে এই কমিটি গঠনের উদ্যোগ৷ কমিটিগুলিকে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি থেকে বাঁচানোর জন্যও বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷
ঠিক হয়েছে, জেলাশাসক, ডিপিও, ডিআই-রা যেমন জেলার কমিটির কাজ দেখভাল করবেন, তেমনই মহকুমা স্তরেও হবে কমিটি৷ তার মাথায় থাকবেন মহকুমা শাসক বা এসডিও৷ ব্লক স্তরের কমিটির মাথায় থাকবেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও৷ এতে একদিকে যেমন অভিভাবকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে, তেমনই মিড ডে মিলের রাঁধুনি বা খাবার সরবরাহকারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধিও থাকবেন৷ প্রধান নজরদার হবেন অভিভাবকরা। কারণ, সন্তান ঠিকমতো মিড ডে মিল পাচ্ছে কি না, তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা থাকার কথা তাদেরই। কিন্তু স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের পছন্দমতো অভিভাবকদের চাপিয়ে দিতে পারবে না৷
এই প্রতিনিধিদের মঞ্জুরি দেবেন খোদ ডিআইরা৷ যদিও এই নামগুলি সম্ভবত স্কুলের কাছ থেকেই নেওয়া হবে। এই অভিভাবক প্রতিনিধিদের দু’মাসের বেশি ওই কমিটিতে রাখা যাবে না। এটাই ঠিক হয়েছে। প্রতি দু’মাস অন্তর অভিভাবক প্রতিনিধিদের পাল্টাতে হবে। তাই, শুধুমাত্র হাতের পুতুল করে কিছু অভিভাবককে কমিটিতে রেখে দেওয়ার সুযোগও কম। ৩৫ পাতার এই নির্দেশের খসড়ায় এ রকম অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ের কথা লেখা রয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু মিড ডে মিল বণ্টন এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে শিক্ষকদের জড়িত না রাখার একটি আবেদন আমাদের সংগঠনগত ভাবে রয়েছে। সেই দাবি থেকে আমরা সরছি না।