নয়াদিল্লি: চলতি বছরেই নয়া শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই শিক্ষানীতি অনুযায়ী মাতৃভাষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাই এবার ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার ক্ষেত্রে ও মাতৃভাষার উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে হিন্দিতে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আধিকারিকদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই মাতৃভাষায় পড়াশোনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকরা যে বৈঠক করেছেন, তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নতুন শিক্ষাবর্ষে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হবে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো, এবং সেটি হবে হিন্দিতে। আপাতত এটিকে ট্রায়াল’ পর্ব বলে পরিগণিত করা হবে। যদি এই ট্রায়াল সফল হয়, তাহলে দেশের অন্যান্য রাজ্যে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এবং সেখানে পড়ুয়াদের নিজেদের মাতৃভাষায় পড়ানো হবে। উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষা নীতি প্রবর্তনের কিছুদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, এই বছর থেকে জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষা হবে মাতৃভাষাতে। অর্থাৎ এতদিন যেখানে এই পরীক্ষা হিন্দি, ইংরেজি এবং গুজরাটি ভাষায় হত, সেখানে এবার থেকে আরও ২২ টি আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে। এবার এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনাতেও।
প্রসঙ্গত, নয়া শিক্ষা নীতি প্রবর্তনের পর গোটা দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছিল। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন শিক্ষানীতি শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি ঘটাবে। একাধিক ইস্যু তুলে ধরে এই নতুন শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করা হয়। যদিও কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই নতুন শিক্ষানীতি ভবিষ্যতের ভারতের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এই নতুন শিক্ষানীতি শিক্ষাক্ষেত্রে আরো উন্নতি সাধন করবে। বর্তমানে বিরোধীদের আওয়াজ কিছুটা কম হলেও বিরোধিতা যে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। তবে এই মুহূর্তে সকলের নজর ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর ট্রায়ালের দিকে। এই ট্রায়াল যদি সফল হয়, তাহলে শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও এক যোগ্য পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।