শিক্ষায় বরাদ্দ কমাল কেন্দ্রের, কালঘাম ছুটছে রাজ্যের! বলছে সমীক্ষা

শিক্ষায় বরাদ্দ কমাল কেন্দ্রের, কালঘাম ছুটছে রাজ্যের! বলছে সমীক্ষা

 

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বেহাল দশা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির কোষাগারের৷ দীর্ঘ লকডাউনে উপার্জন প্রায় নেই বললেই চলে৷ বেড়েছে খরচের বহর৷ তার উপর নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পেও টাকার জোগান কমে গিয়েছে৷ এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যগুলির শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে কালঘাম ছুটেছে৷ এই সঙ্কট যে আরও গভীর হতে চলেছে, সেই আশঙ্কা উস্কে দিল সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের একটি সমীক্ষা৷ 

পশ্চিমবঙ্গ সহ আট রাজ্যের উপর এই সমীক্ষা চালায় সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ৷ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষার বেশিরভাগ খরচই বহন করতে হয় রাজ্যগুলি৷ বিশেষত সেকেন্ডারি স্কুল শিক্ষার খরচের প্রায় পুরো ভারটাই রয়েছে রাজ্যের কাঁধে৷ এখানে কেন্দ্রের অবদান নামমাত্র৷ 

০১৭-১৮ সালে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে সেকেন্ডারি স্কুল শিক্ষায় মোট খরচের মাত্র ১ শতাংশ জুটেছিল রাজ্যের কপালে৷ একই হাল ছিল মহারাষ্ট্রেও৷ তবে এই বিষয়ে কিঞ্চিৎ ভাগ্যবান তামিলনাড়ু৷ সেকেন্ডারি স্কুল শিক্ষায় তাদের প্রাপ্তি ছিল ১৭ শতাংশ৷ 

শিক্ষায় বরাদ্দের একটা বড় অংশ খরচ হয় শিক্ষকদের বেতন খাতে৷ অথচ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিহারে অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের অনুপাত প্রায় ৩৭ শতাংশ৷ এর পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ এ রাজ্যে প্রশিক্ষিত নন এমন শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ২৮ শতাংশ৷ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষায় বরাদ্দের এক শতাংশ বা তারও কম পরিমাণ ব্যয় করে থাকে৷ 

দেখা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে স্কুল শিক্ষায় পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের মাথা পিছু খরচে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ বাংলার পরে রয়েছে একমাত্র বিহার৷ আট রাজ্যের মধ্যে এই খাতে খরচে অনেকটাই এগিয়ে ছিল হিমাচল প্রদেশে৷ তাদের বরাদ্দ ছিল ৫৯,৪৯৯ টাকা৷ তামিলনাড়ুর বরাদ্দ ছিল ৩৬,১৬৭ টাকা৷ সেই তুলনায় কিন্তু অনেকটাই পিছিয়ে ছিল পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার৷ শিক্ষাখাতে পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দ ছিল ১৫,০১৫ টাকা৷ 

তবে স্কুল শিক্ষা কেন্দ্রের বরাদ্দ কমায় পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, চিন্তায় পড়েছে বাকি রাজ্যগুলিও৷ ২০১৪-১৫ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষায় কেন্দ্রের আর্থিক অবদান কমেছে ৭ শতাংশ৷ করোনা পরিস্থিতিতে এই আর্থিক সঙ্কটে স্কুল শিক্ষার ক্ষতি হবে নাতো? চিন্তায় ওয়াকিবহাল মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *