নয়াদিল্লি: কোভিড পরিস্থিতিতে অনিশ্চিত শিক্ষাবর্ষ৷ কবে থেকে স্কুল কলেজ খুলবে সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ এই পরিস্থিতিতে সিবিএসইকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার সিলেবাস কমানোর পারামর্শ দিল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ করোনা পরিস্থিতিতে জারি লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের সুবির্থা এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ তবে কি একই পথে হাঁটবে বাংলা?
করোনা আবহে সিলেবাস কমানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল সিবিএসসি৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসের কমানো হচ্ছে৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে সিবিএসসি বোর্ডকে দেয়া হয়েছে পরামর্শ৷ ৩০% সিলেবাস কমানোর বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ২৫% সিলেবাস কমানো হয়েছিল সিবিএসসির তরফে৷ এবার আরও ৫ শতাংশ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রক৷
আজ কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন সম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, সিবিএসসিকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে যাতে সিলেবাস ভার কমানো হয়৷ ৩০% পর্যন্ত সিলেবাস কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি৷ এমনিতেই কেন্দ্র যে পরামর্শ দিয়ে, সেগুলি পালন করে থাকে সিবিএসসি৷ এক্ষেত্রেও তা ব্যথিক্রম ঘটবে না৷ কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসের চাপ কমানো হবে৷
করোনা আবহে মধ্যেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে৷ বাতিল পরীক্ষার মূল্যায়ন কীভাবে হবে হবে তারপর রূপরেখে তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ করোনার জেরে যেহেতু সেই মার্চ থেকে বন্ধ স্কুল, প্রায় সেড়ে তিন মাস বন্ধ পঠনপাঠন, সেক্ষেত্রে সিলেবাস না কমলে আগামী দিনের পড়ুয়াদের সমস্যা হতে পারে, সেই আশঙ্কার কথা ভেবে সিলেবাসের কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে শিক্ষাবিদদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল৷ প্রায় দেড় হাজারের বেশি মতামত এসেছিল৷ তার মধ্যে সিংহভাগ মানুষ চেয়েছিলেন সিলেবাসের কমানো হোক৷ যদিও এর আগে সিলেবাস কমিয়েছিল কাউন্সিল ফর দা ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশনস বা সিআইএসসিই৷
করোনা প্রভাব পড়েছে বাংলায়৷ এখানেও উচ্চমাধ্যমিকের স্থগিত পরীক্ষা বাতিল হয়েছে৷ ফলে, বাংলার পড়ুয়ারাও পড়েছে সমস্যা৷ বন্ধ স্কুল, বন্ধ পঠনপাঠন৷ একই সমস্যার মুখোমুখি বাংলার পড়ুয়ারাও৷ সিবিএসইর মতো বাংলায় কি সিলেবাস কমানো হবে? এখনও অধরা জবাব৷