কলকাতা: সিবিএইর মতো এবার কি স্থগিত হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা? জল্পনা উসকে আপাতত সিবিএসই দশম ও ও দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেছে৷ কেন্দ্রের তরফে এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে মতামত৷ দেশের শীর্ষ আদালত দিয়েছে সম্মতি৷ আইসিএসই বোর্ডের তরফে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা ঐচ্ছিক বলে জানানো হয়েছে৷ সর্বভারতীয় দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড পরীক্ষা কার্যত গুরুত্ব হারালেো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কি করোনা আবহে নেওয়া হবে? বাড়ছে জল্পনা৷
কেননা এর আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বিষয়টি সর্বভারতীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তুতি রেখে পর্যালোচনা করা হবে৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ কিন্তু, আজ মামলার শুনানিতে সিবিএসইর তরফে সমস্ত পরীক্ষা আপাতত বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে সম্মতি৷
করোনা সংক্রমণের আশংকা থেকে এবছর পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছে৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেওয়া হবে পরীক্ষা৷ কিন্তু কবে, কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা অবশ্য দিনক্ষণ ঠিক হয়নি৷ ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আইসিএসই বোর্ডের তরফেও পরীক্ষা ঐচ্ছিক বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ কোন পড়ুয়া চাইলে পরীক্ষা দিতে পারে, আবার নাও দিতে পারে৷ অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে নম্বর দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে৷ এই মর্মে পড়ুয়াদের কাছ থেকে মতামত জানতে চেয়েছে বোর্ড৷
কিন্তু, সর্বভারতীয় দুটি পরীক্ষা কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়লেও আদৌও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে? আগামী ২, ৬, ৮ জুলাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা হয়েছে৷ কিন্তু, বাংলায় নতুন করে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর হয়েছে৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নতুন করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা৷
যদিও এই বিষয়ে সরকারি তরফে কোনও বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি৷ পূর্বঘোষিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি আদৌও বদল হচ্ছে কি না, সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা হলে তা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করবে আজ বিকেল ডট কম৷ যদিও পরীক্ষা হওয়া, না-হওয়ার দোলাচলের মধ্যে চরম উদ্বেগের রয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা৷ কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, কবে ফলাফল প্রকাশ হবে, তারপর কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া কীভাবে হবে, সে ক্ষেত্রে নতুন শিক্ষাবর্ষ নিয়ে কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে কি না, গোটা বিষয়টি এখন রাজ্য সরকার চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷