কলকাতা: সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন। জানান হয়েছে, প্রাথমিকে ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু এই উচ্চ প্রাথমিক নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁরা যোগ্য নন।
২০১৬ সাল থেকে চলা আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ তালিকায় অসংগতির অভিযোগে গতবছর হাইকোর্টে মামলা করেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তারপর থেকে একাধিকবার শহরের তথা রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এই বিষয়ে। হালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগ অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছিল, কারণ কলকাতায় ব্যাপক হারে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। যদিও চলতি সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঘোষণা করেছেন তাতে স্বস্তি পাওয়ার কথা কিন্তু এই তালিকা নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে ২০১৬ সাল থেকে চলা আপার প্রাইমারী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়ে নতুন করে ভেরিফিকেশন-সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ মত, গত ৪ জানু়য়ারি থেকে নতুন করে শুরু হয় ভেরিফিকেশন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন- লাগবে না গ্যারান্টার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা, অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
উল্লেখ্য, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর আগেই প্রাথমিকে ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে এবং আপার প্রাইমারিতে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। যার অর্থ পুজোর মধ্যেই সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী দুর্গা পুজোর পরে আরও ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে মমতা স্পষ্ট করে দেন, মেধার ভিত্তিতে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, মেধাই হবে একমাত্র পরিচয়। লবির কোনও জায়গা থাকবে না। আদালতে মামলা চলার জন্য এতদিন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল কিন্তু এবার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি এই ঘোষণা করলেন বলে জানিয়েছিলেন।