কলকাতা: শিক্ষার প্রসার ঘটাতে বড় অঙ্কের বৃত্তির ঘোষণা করল কেন্দ্র। বুধবার চার কোটির বেশি তফশিলি জাতিভুক্ত পড়ুয়াদের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে ম্যাট্রিক পরবর্তী বৃত্তি প্রকল্পের জন্য ৫৯ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
বুধবার মোট ৫৯ হাজার ৪৮ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্র বৃত্তি প্রকল্প খাতে ৬০% টাকা খরচ করবে। রাজ্য সরকার দেবে বাকি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পড়ুয়াকে ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রিসভার তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প আগের ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দায়বদ্ধতা’ নীতির জায়গায় প্রয়োগ করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার আরও নিবিড় ভাবে সংযুক্ত হবে।
তফশিলি জাতির পড়ুয়াদের ম্যাট্রিক পরবর্তী বৃত্তি প্রকল্পের সুযোগ পাবে একাদশ শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চতর শিক্ষিতরা। এই সরকারি সাহায্য তা সুনিশ্চিত করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল দরিদ্রতম পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সময় মতো ফি জমা দেওয়ায় সাহায্য করা। এছাড়া সামগ্রিক দায়বদ্ধতা, নিয়মিত নজরদারি এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত করা। বলা হয়েছে, বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য আগামী ৫ বছরের মধ্যে দরিদ্রতম পরিবারগুলির দশম শ্রেণি পাশ করা পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের নিয়মিত প্রচারের মাধ্যমে সচেতন করা হবে। যাতে তারা উচ্চতর বিদ্যার্জনে আগ্রহী হয়, তাই এই ব্যবস্থা। অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রল্প চালু করা হবে। অনলাইন পোর্টালে পড়ুয়াদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাত, আধার পরিচয়পত্র এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ সমস্ত দিতে হবে। তারপর তথ্য যাচাই করবে রাজ্য সরকার। এর পর জন্ম তারিখ, মাস ও সাল যাচাই করে আধারভিত্তিক পেমেন্ট ব্যবস্থায় পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা পড়বে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রকল্প চালু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত তফশিলি জাতির পড়ুয়াদের জন্য বার্ষিক ১,১০০ কোটি টাকা খরচ করত কেন্দ্র সরকার। এই প্রস্তাবিত প্রকল্পে ২০২০-২০২১ থেকে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে তার পাঁচ গুণ, অর্থাৎ প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।