#Budget2019: কল্পতরু বাজেটের বরাদ্দ থাকুক প্রাথমিক শিক্ষায়

শাম্মী হুদা: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, ২০১৯ আর্থিক বাজেট পেশ করতে চলেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, লোকসভা ভোটের আগে এই বাজেটকেই পাখির চোখ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। জনমোহিনী বাজেট পেশ করে সমর্থন ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাবেন নরেন্দ্র মোদি, এমনটার আভাস বেশ স্পষ্ট। তবে সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে আর্থিক বাজেট যাইহোক না কেন ২০১৯-র অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট কঠিন হতে

#Budget2019: কল্পতরু বাজেটের বরাদ্দ থাকুক প্রাথমিক শিক্ষায়

শাম্মী হুদা: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, ২০১৯ আর্থিক বাজেট পেশ করতে চলেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, লোকসভা ভোটের আগে এই বাজেটকেই পাখির চোখ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। জনমোহিনী বাজেট পেশ করে সমর্থন ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাবেন নরেন্দ্র মোদি, এমনটার আভাস বেশ স্পষ্ট। তবে সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে আর্থিক বাজেট যাইহোক না কেন ২০১৯-র অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট কঠিন হতে চলেছে। আসন্ন বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রের দিকে গুরুত্বপূর্ণ নজর দেওয়া জরুরি, শিক্ষাবিভাগে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে নেমে পাঁচ শতাংশে চলে আসায় বহু পড়ুয়ার কাছে পড়াশোনার খরচ সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে। তবে সাধ্যের মধ্যে এলেও আর্থিক বরাদ্দ যতটা ফলাও করে জানানো হয় সেই বরাদ্দকৃত টাকার সঠিক খরচ কিন্তু তেমনভাবে হয় না। তাই শিক্ষার মানোন্নয়ন শুধু কাগজে কলমেই রয়ে যায় বাস্তব সেখান থেকে অনেক দূরেই অবস্থান করে।

উল্লেখ্য, দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে আর্থিক বাজেট কল্পতরুর ভূমিকা নেয় এমনও বলা যাবে না। এবং বাজেট শুধু টাকা ঢেলে দায়বদ্ধতায় ইটি টানতে পারে না, সেই টাকা কোন কোন খাতে খরচ হল ও খরচ হওয়া টাকা আদৌ পড়ুয়াদের কোনওরকম উন্নতিতে এল কিনা তা দেখা অত্যন্ত জরুরি। মূলত শিক্ষার প্রতিটি বিভাগে যাদে বাজেটে বরাদ্দ অর্থ যায় তা ভাল করে দেখা উচিত। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে নজর দেওয়া জরুরি।শুধু অর্থ বরাদ্দ করলে হবে না, সেই অর্থে ঠিক কি কি কাজ হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

বরাদ্দকৃত অর্থ যে অনর্থের কারণ হচ্ছে তার নিদর্শন প্রচুর, যেমন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলগুলিতে কম্পিউটার পৌঁছে গিয়েছে। মূলত পড়ুয়াদের জন্যই এই ব্যবস্থা, কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কম্পিউটার গেলেও তা এখন মোড়কবন্দি হয়েই রয়েছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরির জন্য শুধু হাইটেক যন্ত্রপাতি আনলেই চলবে না, সঙ্গে সেসবের উপযুক্ত প্রশিক্ষকও চাই নাহলে কম্পিউটার প্যাকেটবন্দি হয়ে স্কুলের স্টোর রুমে পড়ে থাকবে। এটাও সত্যি যে শুধু সরকারি উদ্যোগ নয় এসব কাজে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।

কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বরাদ্দ অর্থ কোনওরকম সুগঠিত ভাবনাচিন্তা ছাড়াই খরচ হয়ে যায়। আগে দেখতে হবে প্রয়োজনীয়তা ঠিক কি, কতটা এবং কীভাবে তা পূরণ করা যাবে।তারপর পদ্ধতিগত পরিকাঠামো তৈরি করে প্রয়োজন অনুযায়ী আয়োজন করা হোক ও আর্থিক বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার হোক। এটা যে শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা নয়, স্বাস্থ্য-সহ আরও অন্যান্য জরুরি ক্ষেত্রগুলিতে এর প্রয়োজনের আবশ্যকতা বর্তমান। বাজেট পেশের আগে কেন্দ্র ও অর্থমন্ত্রক এদিকে নজর দিক এমনটাই আশা ওয়াকিবহাল মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 6 =