কলকাতা: করোনা এবং গরমের কারণে গত বছর ৫৬ দিন এবং চলতি বছর দু’দফায় ৫২ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তারপর জুন মাসে স্কুল খোলার পর দ্বিতীয় পর্বের পড়াশোনা দেড় মাস পর শুরু হয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও গণনায় বেশিরভাগ শিক্ষকদের প্রায় ৮ থেকে ১০ দিন স্কুলের বাইরে থাকতে হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় পর্বের আর এক মাসও নেই। তাই সিলেবাস কমাতে হবে এই দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সিলেবাদ ছাড়াও আরও বেশি কিছু দাবি জানানো হয়েছে।
সমিতির তরফে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ন পিছিয়ে দেওয়া সহ সিলেবাস কমানো, পড়ানোর সময় বাড়ানোর মতো গুরুত্বপুর্ণ দাবি জানানো হয় আজ। তাদের বক্তব্য, পর্ষদ আগামী ১১ থেকে ২৩ আগষ্ট দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ন গ্রহণের নির্দেশিকা (২৪.৩.২০২৩ তারিখের ৭১৫/ ডব্লিউ বি বি পি ই/ ২০২৩) জারি করেছে। কার্যত দ্বিতীয় পর্বের সিলেবাস পড়ানোর জন্য চার মাসের সময়সীমা কমে মাত্র মাত্র ৫৫ দিন ছিল। তার মধ্যে এত অল্প সময়ে সিলেবাস সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে শিক্ষক সমাজ চিন্তিত।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা গোটা বিষয়ের সমালোচনা করে বলেন, বারবার দীর্ঘ ছুটি দেওয়ায় শিক্ষার সর্বনাশ হচ্ছে। তিনি শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মূল্যায়নের সময় সীমা পিছন এবং সিলেবাস কমিয়ে দ্বিতীয় পর্ব সম্পূর্ণ করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।