কলকাতা: পাশ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের ১৯ জন ছাত্রীর। স্কুল বলছে সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সংসদ জানাচ্ছে স্কুল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে ছাত্রীদের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে জট কাটল না। একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে গিয়ে পাশ করানোর দাবি জানায়। কিন্তু শিক্ষা সংসদ এদিন জানিয়ে দিয়েছে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা স্কুলের হাতেই রয়েছে।
স্কুল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে সোমবার বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে ধরনায় বসে একদল ছাত্রী। স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই দাবি না মানায় মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে যায় তাঁরা। বেথুন স্কুলের একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠতে ১১৯ জন পড়ুয়ার মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে মোট ১৮ জন। বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের অকৃতকার্য হওয়া ওই সব পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকেরা এদিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে গিয়ে তাদের পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি করেন।
অনুত্তীর্ণ পডুয়াদের মধ্যে তিন জন থিওরিটিক্যাল এবং প্রোজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালে আলাদা ভাবে পাশ না করলেও দু’টি মিলিয়ে পাশ করেছে। সব মিলিয়ে পাশ নম্বর রয়েছে ওই ১৯জন ছাত্রীর। কিন্তু সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, দ্বাদশ শ্রেণিতে আলাদা ভাবে থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যালে পাশ করতে হয়। ওই স্কুলের এক অভিভাবকের কথায়, সোমবার স্কুলে এই সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়েছিল। আমরা দাবি করেছিলাম আমাদের মেয়েদের ক্লাসে উঠিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু স্কুল কোনওভাবেই রাজি হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী উত্তীর্ণ করা যায় না। অথচ সংসদের কাছে ওই দাবি জানানো হলে সেখান থেকে বলা হচ্ছে স্কুলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। ওই অভিভাবকের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে ফেল করানো হয়েছে ছাত্রীদের। এমনকি সোমবার ঠিক মতো খাতাও দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ ওই অভিভাবকের।