আজ বিকেল: বিধানসভায় মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি পেশ করা হয়। সেই দাবির বেশিরভাগটাই বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নিয়েছেন পার্থবাবু। বাকিটা আলাপ আলোচনায় সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। মূলত মাধ্যমিক শিক্ষার অধোগামীতা নিয়েই বিশেষ চিন্তিত শিক্ষক সমাজ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই স্মারকলিপির আয়োজন করা হয়। মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সময়াভাবে শিক্ষামন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সমিতির থেকে স্মারক লিপি গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, এদিন নয় দফা দাবিতে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। তারপরই বিধানসভায় পার্থবাবুর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক লিপি। বেশ কয়েকটি দাবি সামনেই মেনে নেন পার্থবাবু। গ্রাজুয়েট টিচারদের পে-ইন ব্যান্ড মেনে নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষকদের মেডিক্যালের দাবি মেনে নিয়েছেন। ডিএলএড পাশ শিক্ষাপ্রার্থীদের ইনক্রিমেন্ট নিয়েও সদর্থক পদক্ষেপের কথা হয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক উপকৃত হবে এই ডিএলএড মান্যতা পেলে। চাকরিরত অবস্থায় কোনও শিক্ষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের একজনের চাকরি দেওয়ার বিষয়টিও ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। পার্শ্বশিক্ষকদের চাকরি ২০২২-র পরে থাকবে কি না তানিয়েও দরবার করা হয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তিনি পার্শ্বশিক্ষকদের ভবিষ্যতের দিকটি ভেবে দেখার কথা বলেছেন। পাশ ফেল ফিরিয়ে আনাতেও মত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ প্রক্রিয়া মিটলে এই দাবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে এই বিষয়টির পর্যালোচনা হবে। এটা একটা বড় জয় হিসেবে দেখছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। আগামী ১৫ তারিখে ফের জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতৃত্বরা।