বেঙ্গালুরু: বয়স মাত্র ১২৷ কতই বা অভিজ্ঞতা জীবনের! বিদ্যালয়ের গণ্ডি পাড় হয়নি সময় হয়নি এখনও৷ কিন্তু বয়সেও মানবিকতা বোধ এবং স্বদিচ্ছা ভরপুর কিশোর আচ্ছা আচ্ছা সুশিক্ষিতদের মাথা নত করতে দিতে পারে৷ ঘটনাস্থল কর্ণাটকের রায়চূড় জেলা৷ তারিখ ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট৷ ষষ্ঠ শ্রেণি ছাত্র৷
নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে আটকে পড়ে ছয় শিশু-সহ যাত্রী ও একটি মৃতদেহ-সহ একটি অ্যাম্বুলেন্স৷ জল জমে যাওয়ার কারণে পথ চিনতে ভুল করেছিল অ্যাম্বুলেন্স৷ অ্যাম্বুলেন্সের পথ চেনানোর দায়িত্ব দেয় ওই পড়ুয়া৷ অ্যাম্বুলেন্সের আগে ছুটে কয়েক কিলোমিটার পথ দেখায় সে৷ সেদিনের ওই পড়ুয়ার সাহসিকতার জন্য চেনা পরিচিতদের কাছে নিঃসন্দেহেই বাহবা কুড়িয়েছিল সে৷ কিন্ত ঘটনা এতে থেমে রইল না৷
ওই কিশোর এই বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে ভারতের জাতীয় শিশু উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সাহসী খেতাব ২০১৯-এর জন্য মনোনীত করেছে৷ কর্ণাটকের এই কিশোর নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট ২২ জন শিশু এই সম্মান পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এখন আর বলতে কোনোরকম দ্বিধা থাকা উচিত নয়, এই শিশুরাই দেশের আগামী দিনকে উজ্জ্বল করবে৷