উন্নয়ন চলবে তাই সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে না! মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

আজ বিকেল: লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরেও সরকারি কর্মচারীদের জন্য ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টকে চেপে দিল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এর বৈঠকে সাফ জানালেন, জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের উন্নয়ন বন্ধ করে কিছুতেই বেতন বাড়ানো হবে না। এরপরেই একে একে ক্ষোব উগরে দিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এক প্রেস বিবৃতিতে সমিতির

উন্নয়ন চলবে তাই সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে না! মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

আজ বিকেল:  লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরেও সরকারি কর্মচারীদের জন্য ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টকে চেপে দিল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এর বৈঠকে সাফ জানালেন, জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের উন্নয়ন বন্ধ করে কিছুতেই বেতন বাড়ানো হবে না। এরপরেই একে একে ক্ষোব উগরে দিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।

মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এক প্রেস বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, জনদরদের ভেক ধরে উন্নয়নের নামে যা চলচে তা বাস্তবে মেলে খেলা ক্লাবে ক্লাবে অনুদান, মদ খেয়ে মৃত্যুতে টাকা বিলি। পরিকল্পনা হীন বিবিধ কাতে দেদার টাকা ছড়ানো হচ্ছে। অছত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন খাতে বরাদ্দ কৃত ১৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়াই হয়নি। একই সঙ্গে আর্থিক  সমকটের অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-ও চালু হয়নি। এমনকী পে-কমিশনের অন্তর্বর্তীকালীন ভাতা ও বছরে দুবার ডিএ বন্ধ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন হল। সরকারের দেওয়া দশ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ভাতাও বন্ধ।কেন্দ্রের সরকার যখন সপ্তম পে-কমিশনের রিপোর্ট ২০১৮-তে লাগু করেছে তখন বাংলায় ষষ্ঠ পে-কমিশন চালু হবে কি না তার নামগন্ধও উচ্চারিত হয়নি।

উন্নয়ন চলবে তাই সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে না! মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরাক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক ও শিক্ষক আন্দোলনের নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, আদতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে নাম পরিবর্তন করে রাজ্য সরকার খাদ্যসাথী নাম দিয়ে চালাচ্ছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দেয়,শুধু পরিবহন খরচ হিসেবে কিলো প্রতি ২টাকা করে নেওয়া হয়। তাই প্রকল্প চালাতে গিয়ে বেতন বাড়াবেন না, মুখ্যমন্ত্রীর এই যুক্তি মানা যাচ্ছে না। সত্যিই তো খাদ্যসাথীর সঙ্গে ডিএ ,পে-কমিশনের কী সম্পর্ক? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেছেন, মাননীয়া, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে আখেরে নিজের ক্ষতিই ডাকছেন। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তের বদল না ঘটলে বিপদ আসন্ন। মাননীয়ার উচিত এই বেলা যাবতীয় অজুহাত সরিয়ে রেখে সরকারি কর্মীদের পে-কমিশন ও ডিএ সংক্রান্ত দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *