কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস পেয়ে ইস্তফা ফিরিয়ে নিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার রাতে ইমেলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চাকরি থেকে ইস্তফা পাঠান মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এরপর ঘটে নাটকীয় পরিবর্তন৷
সূত্রের খবর, ইস্তফার ইমেল পেয়ে রাতেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৈশাখীদেবীকে ফোন করেন৷ তাঁকে আশ্বস্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে ইস্তফা ফিরিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরম বন্ধু’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর আগেও তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন৷
শোভন-বৈশাখী সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের জল্পনায় জল ঢেলে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে ই-মেল বার্তা পাঠান শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরম বন্ধু’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইস্তফা পাঠান শিক্ষা দপ্তরে৷
জানা গিয়েছে, মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে ইমেল পাঠান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কাজ করতে পারছি না৷ এই মর্মে তিনি তাঁর চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে বার্তা পাঠান বলে সূত্রের খবর৷ যেহেতু তাঁর কলেজে এই মুহূর্তে কোনও পরিচালন কমিটি নেই, সেই কারণে শিক্ষা দপ্তর ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইমেল মারফত চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার আর্জি জানান৷
তবে, হঠাত কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত? তুঙ্গে রাজনৈতিক৷ তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের মাথায় থাকার পর গত ১৪ আগস্ট বিজেপিতে যোগদেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘পরম বন্ধু’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপির সদর দপ্তরে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন বৈশাখী৷ কিন্তু, জানেন কি, বৈশাখী আসলে কে?
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ছিলেন মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ৷ এর আগেও ওই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন৷ বিজেপি যোগ দেওয়ার পরও তিনি ছিলেন তাঁর পদে৷ ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান৷ সেখান ‘বিশেষ সুবিধা’ বলে তাঁকে অধ্যক্ষ পদে আনা হয়েছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী বৈশাখীদেবী গত ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে সাসপেন্ড হন৷ এই নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে৷ বৈশাখী দেবীর পাশে থেকে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর মামলায় অংশ নেয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ পরে আদালতের রায় তাঁর পক্ষে যায়৷
শোভনবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে৷ সম্পর্কের বাঁধনে সংসার ভাঙেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ দল ছাড়েন৷ মেয়র পদ থেকেও ইস্তফা দেন৷ মন্ত্রিত্বও ছাড়েন৷ উঠে যায় শোভনবাবুর নিরাপত্তা৷ পরে দু’জনে যোগ দেন বিজেপিতে৷ সেখানে সমস্যার মুখোমুখি হন৷ গত ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ফোঁটাও নেন তাঁরা৷ তার পরদিন নিরাপত্তা ফিরে পান শোভন৷