আজ বিকেল: এসএসসি প্রার্থীরা অনশন করেও এখনও চাকরির বাজারে লাভবান হতে পারেননি। ফের সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এবার অভিযোগের তির পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের দিকে। অভিযোগ, তিনি নাকি খাদ্য দপ্তরের ইনস্পেক্টর নিয়োগের পরীক্ষায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এই পদে নিয়োগের জন্য যে ২৩০ জন প্রার্থীর নাম এসেছে। তাঁদের নম্বরে কারচুপি করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওই আধিকারিক। এই নম্বর কেলেঙ্কারিতে তিনি আদৌ যুক্ত কি না তার প্রমাণ ওই চেয়ারম্যানকেই দিতে হবে। সেজন্য় নিউমার্কেট থানার অতিরিক্ত ওসি তথ্যপ্রমাণ ও চিঠি তলব করেছেন চেয়ারম্যানের কাছে।
কিছুদিন আগেই স্বয়ং কমিশনের সচিব ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় নম্বর কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেন। এতে পিএসসির এক কর্মীর নাম জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে টালিগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের হয়।সেই মামলা চলছে জোর কদমে। এই মুহূর্তে রাজ্যের চাকরি ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা ও ছাত্রসমাজ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুলিশও তৎপরতার সঙ্গে গোটা বিষয়টি সামাল দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেপ্তারির ঘটনাও ঘটে গিয়েছে।
খাদ্য দপ্তরের চাকরি কেলেঙ্কারির অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ খাদ্য দপ্তরের সহসচিব। অভিযোগের তির স্টাফ সিলেকশন কমিশনের বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এর ভিত্তিতে ২০১৮-র ১৪ মে একটি মামলাও রুজু হয়। তাতে জানা গিয়েছে, ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নম্বর কেলেঙ্কারি হয়েছে। ২৩০ জন চাকরি প্রার্থীর নম্বরে কারচুপি করেছেন অভিযুক্ত আধিকারিকরা। জাল নথি তৈরি করে এই কাজ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৫,১২০বি ও ৪৮৮ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের সাতবছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে ওই ২৩০ জন প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড, সার্টিফিকেট ও পরীক্ষার খাতার কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেগুলি ভালভাবে যাচাই করে খুব শিগগির মামলাটির নিষ্পত্তি চাইছে খাদ্য দপ্তর।