নয়াদিল্লি: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পেশাদারী কোর্স যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি, ম্যানেজমেন্ট, প্রথম বর্ষ পাঠরত তপশিলি সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কলারশিপ৷ যে সমস্ত তপশিলি সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রী উল্লেখিত বিষয় নিয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট স্তরে পড়াশোনা করেছেন তাদের মধ্যে ১০০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা করা হবে৷
স্কলারশিপ মূল্য: ইঞ্জিনিয়ারিং এর পোস্ট গ্রাজুয়েট স্তরে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা প্রতিমাসে ৭৮০০ টাকায় স্কলার্শিপ পাবেন, অন্যান্য কোর্সের ক্ষেত্রে মাসিক স্কলারশিপের পরিমাণ ৪৫০০ টাকা৷ যে বছর স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন সেই বছর যেদিন থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স শুরু হয়েছে সেই অনুযায়ী স্কলারশিপ দেওয়া হবে৷
স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা: অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন/ মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া/ ডেন্টাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া/ ফার্মেসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া/ রেহাবিলিটেশন কনসিল অফ ইন্ডিয়া/ এনসিটিআইএস অফ ইন্ডিয়া/ বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া/ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ/ ফরেন্সিক ডেভলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া স্বীকৃত পেশাদারী কোর্সে তপশিলি সম্প্রদায়ের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী কেন্দ্র /রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় চালিত কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠান ইউজিসি আক্ট এর অধীন কলেজ বা প্রতিষ্ঠান ইউজিসি অনুদানপ্রাপ্ত ইউনিভার্সিটিতে নিয়মিত পড়াশোনা করেছেন তারা আবেদনের যোগ্য৷ এর ডিগ্রী কোর্স অপেশাদার গণ্য হবে ডিসটেন্স এডুকেশন পাঠরত পেশাদারী কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পে কোনো আর্থিক সহায়তা পাবেন না৷
স্কলারশিপ পাওয়ার সময়সীমা: একজন ছাত্র ছাত্রী সর্বোচ্চ ২/৩ বছর পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য৷ পড়াশুনার মেয়াদ বৃদ্ধি করলে সেইসময়ের স্কলারশিপ পাওয়া যাবে না৷ স্কলারশিপ বাতিল করা হতে পারে এইসব কারণে ১)পোস্ট গ্রাজুয়েট স্তরের প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীর নম্বর বা সমতুল সিজিপিএ স্কোর না পেলে ২)ব্যক্তিগত কারণে পড়াশুনো অনিয়মিত হলে ৩)অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন এ ভুল তথ্য দিলে ৪)ব্যাংকের তথ্য ভুল থাকলে ও পরীক্ষায় ফেল করলে৷
স্কলারশিপ নবীকরণ পদ্ধতি: স্কলার্শিপ নবীকরণ করার জন্য ভালো আচরণ ও ক্লাসে উপযুক্ত উপস্থিতির হার থাকা প্রয়োজন৷ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের দেওয়া অ্যানুয়াল প্রগ্রেস রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী বছরের জন্য স্কলারশিপ নবীকরণ করা হয় যে কোর্সের জন্য স্কলারশিপ পেয়েছেন সেই কোর্স পরিবর্তন করা যাবে না৷ যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী গতবছর স্কলারশিপ পেয়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট কানাডা ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে স্কলার্শিপ পাবেন৷ এক্ষেত্রে ইউজিসির নিয়ম অনুসরণ করতে হবে৷ আবেদনের পদ্ধতি আবেদন করতে হবে অনলাইনে ৩১ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ১৫ নভেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে ন্যাশনাল পোর্টাল স্কলারশিপের ওয়েবসাইটে৷ পারিবারিক বার্ষিক আয় সার্টিফিকেট উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য নথিপত্রের প্রমাণপত্র যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন সেখানে জমা করতে হবে৷ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আধার কার্ড চাই৷ যদি আধার তৈরির পর্ব চলে সে ক্ষেত্রে থাকতে হবে এইসব প্রমানপত্রের যেকোনো একটি আধার এনরলমেন্ট আইডি স্লিপ আধার এনরলমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ভোটার আইডি কার্ড প্যান কার্ড পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স গেজেটেড অফিসারের দেওয়া পরিচয় পত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেওয়া সচিত্র পরিচয় পত্র রাজ্য সরকারের দেওয়া যেকোনো সচিত্র পরিচয় পত্র স্কলারশিপের টাকা সরাসরি প্রার্থীর ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে৷ ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপের টাকা পেয়েছেন কিনা জানতে পারবেন এই ওয়েব লিংকের মাধ্যমে৷