ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, রাতারাতি বদলে গেল মিড ডে মিলের বিজ্ঞপ্তি!

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি পর রাতারাতি বদলে গেল মিড ডে মিলের খাদ্যতালিকার বিজ্ঞপ্তি৷ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মিড ডে মিল সংক্রান্ত যে খাদ্য তালিকার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও সার্কুলার জারি করা হয়নি৷ রাজ্য সরকারের তরফে এখানে কোন খাদ্য তালিকায় প্রকাশ করা হয়নি৷ আর সেই সুবাদে জানানো হয়েছে, উচ্চ

ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, রাতারাতি বদলে গেল মিড ডে মিলের বিজ্ঞপ্তি!

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি পর রাতারাতি বদলে গেল মিড ডে মিলের খাদ্যতালিকার বিজ্ঞপ্তি৷ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মিড ডে মিল সংক্রান্ত যে খাদ্য তালিকার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও সার্কুলার জারি করা হয়নি৷ রাজ্য সরকারের তরফে এখানে কোন খাদ্য তালিকায় প্রকাশ করা হয়নি৷ আর সেই সুবাদে জানানো হয়েছে, উচ্চ প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলির যেমন মিড ডে মিলের ব্যবসা চলছিল তেমনি চলবে৷ তবে, পড়ুয়াদের পাতে পুষ্টিকর খাদ্য দিতেই হবে৷ ডিম-ভাত না দিলেও চলবে বলেও জানানো হয়েছে৷

মিড ডে মিলে খাদ্যের তালিকা চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, তাঁকে না জানিয়ে এই ধরনের খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ এতে তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন জানান, মাত্র সাড়ে চার টাকার মধ্যে কি করে ডিম ভাত খাওয়ানো সম্ভব? প্রশ্ন তুলে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী সচিবকে তুলোধোনা করে মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, ‘‘আমি চাই ওঁরা পেট ভরে ডাল ভাত খেতে খাক৷ তার ব্যবস্থা করতে হবে৷’’ এই ধরনের নির্দেশ বিভ্রান্তি ছড়ায় বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷

ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, রাতারাতি বদলে গেল মিড ডে মিলের বিজ্ঞপ্তি!বলেন, ‘‘স্কুল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন তোমরা ৭ দিনের সাত রকম মিড ডে মিলের নির্দেশ দিয়েছো? কাগজে আমি দেখছিলাম৷ ওরা কি ভুলভাল খবর দিচ্ছে নাকি? বিভিন্ন কাগজ লিখছে, ৭ দিনে ৭ রকম খাবার দেবে৷ আমি তো নিজেই জানি না৷ কিছু যে যা পাচ্ছে, নিজের মনের মতো করে তৈরি করে দিচ্ছে৷ আমরা তো গভমেন্ট থেকে পায় মাত্র চার টাকায় ৩১ পয়সা৷ এই দিয়ে এই সব কোত্থেকে আসবে? এত মুশকিল ভাই৷ তোমরা ক্লারিফাই করে অ্যাকচুয়াল জিনিসটা বলে দাও৷ এটা কিন্তু সমস্যা হচ্ছে৷ আমি চাই ডালভাত তরকারিটা পেট ভরে খাক ওঁরা৷ তোমায় দেখতে হবে৷ একটা ডিমের দাম ছ’টাকা৷ আমরা বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছি৷ এটা মাথায় রাখতে হবে৷’’

ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, রাতারাতি বদলে গেল মিড ডে মিলের বিজ্ঞপ্তি!
যে বিজ্ঞপ্তি বিভ্রান্তি তৈরি করেছে৷

এদিন একই সঙ্গে মিডে মিল কর্মীদের বেতন কিছুটা বেড়ে বাড়ানোর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সরাসরি বেতন বৃদ্ধির কথা না বললেও ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে মিড ডে মিলের কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করিয়ে মাসে সাত হাজার টাকার কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘ওঁরা যদি ১০০ দিনের কাজ করেন, তাহলে ১০০ দিনের কাজ থেকে কিছু টাকা পাবেন৷ মিড ডে মিলের রান্নার কাজে ওঁরা কিছু টাকা পাবেন৷ তাঁদের পরিবার আর্থিক ভাবে কিছুটা স্বাবলম্বী হবেন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − five =