আজ বিকেল: এরাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অভিয়োগের অন্ত নেই। শিক্ষক নিয়োগে বড়মাপের দুর্নীতি পশ্চিমবঙ্গে অহরহ ঘটে চলেছে। তারই ছাপ পড়েছে লোকসভা ভোটে শাসকদলের ভোট ব্যাংকে। এবার সেই দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে শিক্ষা দপ্তরকে খোলা চিঠি দিলেন বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন পড়ুয়া চাকরি প্রার্থীরা।
চিঠির বয়ান অনুযায়ী, আমরা অস্থি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধীর(OH ) অন্তর্গত শিক্ষক পদ প্রার্থী..পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। শিক্ষক নিয়োগের এই ত্রিস্তরেই আমরা বিশেষভাবে বঞ্চিত হয়েছি। প্রতিবন্ধি আইন মেনে প্রাপ্য ১% সংরক্ষিত আসন তাঁদের দেওয়া হয়নি। দৃষ্টি(VH ) ও শ্রবণ(HH ) সংক্রান্ত প্রতিবন্ধীরা রোস্টারের প্রথমাংশে (১২নং ও ৪২নং ) থাকার কারণে আসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন কিন্তু OH অন্তর্গত প্রার্থীরা রোস্টারের অনেক শেষে (৭২ নং ) অবস্থান করায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে রীতিমতো বৈষম্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ, প্রথমবারের ভ্যাকেন্সি ডিক্লেয়ারের সময় যে পরিমাণ আসন দেখানো হয়েছিল, দ্বিতীয়বরে তা কমে প্রায় শূন্য হয়ে যায়। (যদিও সব ক্যাটাগোরিতেই আসন বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যতিক্রম OH..)..প্রথমেই যদি এই ভ্যাকেন্সি দেখানো হতো তাহলে অনেক প্রতিবন্ধী তাদের জাতিগত বিভাগে আবেদন করে চাকরি পেতে পারতেন। এই সমস্যার জন্য প্রতিবন্ধীরা(OH) অন্যান্য বিভাগ থেকে বেশি নম্বর পেয়েও চাকরি পাচ্ছেন না।
অনেকে আবার নকল প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রকৃত প্রতিবন্ধীদের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের পরিচয়পত্রটি সঠিক ভাবে পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। ৪০% প্রতিবন্ধী আর ৮০ % প্রতিবন্ধীর সমস্যা কিন্তু এক না , তাই প্রতিবন্ধী শতাংশের মূল্যায়ন করতে হবে! এই সমস্ত সমস্যার সমাধান দ্রুত করে আমাদের প্রতিবন্ধীদের প্রাপ্য সুযোগ দেওয়া হোক।