এক বুক জল ঠেলে পড়ুয়াদের জীবন গড়ছেন শিক্ষিকা, চলছে ২০ বছরের লড়াই

এক বুক জল ঠেলে পড়ুয়াদের জীবন গড়ছেন শিক্ষিকা, চলছে ২০ বছরের লড়াই

ভুবনেশ্বর: লক্ষ্য যখন স্থির! অদম্য জেদ, কঠোর অধ্যাবসায়ে জয় মেলে নিশ্চিত৷ এমনই দৃঢ় মানসিকতার এক শিক্ষিকা নতুন করে দেখালেন কীভাবে নিজের দায়িত্বে অবিচল থাকতে হয়, সে যতই আসুক না কেন বাধা-বিপত্তি৷

পেশায় হিসাবে তিনি বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতা৷ তাঁর লক্ষ্য একটাই, ছোট ছেলে মেয়েদের মধ্যে জ্ঞানের আলোক জ্বালিয়ে তাঁদের জীবনে সঠিক পথ দেখানো৷ আর সেই লক্ষ্য পূরণে বেছে নিয়েছেন কঠিন লড়াই৷ সমস্ত বাধাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াকেই জীবনের মন্ত্র করে নিয়েছেন বছর পঞ্চাশের শিক্ষিকা বিনোদিনী সামল৷

শিক্ষিকা বিনোদিনী নিজের গলা সমান উচ্চতার নদীর জল ডিঙিয়ে রথিয়াপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে পড়ুয়াদের পড়ান৷ বিনোদিনী দেবীর কাছে প্রতিদিনের যাতায়াতের এই প্রতিকূল পথ আদৌ সেরকম কষ্টের নয়৷ কারণ তাঁর জীবনে একটাই ব্রত সেটা হল শিক্ষকতা করা৷  ওই বিদ্যালয়ে তিনি চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতা করেন৷ ২০০০ সালে তাঁকে নিয়োগ করে ওড়িশার শিক্ষা দফতর৷ মাসিক বেতন ছিল ১৭০০টাকা৷ এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭০০০ টাকা৷ 

তিনি জানিয়েছেন, যাত্রাপথের এই হয়রানি হয় শুধু বর্ষার সময়ে৷ যখন নদীতে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়৷ গরমের সময়ে নদীর জল শুকিয়ে যায় বলে যাতায়াত এতোটা কষ্টকর হয় না৷ আর এভাবেই ২০ বছর টানা লড়াই করে চলছেন এই শিক্ষিকা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 7 =