কলকাতা: হস্টেল ফেরানোর দাবি নিয়ে আন্দোলন থেকে অনশন। আর সেই আন্দোলন করার অপরাধে শাস্তির মুখে পড়েন পড়ুয়ারা। ফলে ফের অনশনের পথ বেছে নিল প্রেসিডেন্সি। তিন ছাত্রের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করার অপরাধে অভিযুক্ত স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সায়ন চক্রবর্তী এবং স্নাতক তৃতীয় বর্ষের অনীক বৈদ্য ও আনিসুর হকসহ সাতজন পড়ুয়া এদিন থেকে অনশন করছেন।
ডিন অব স্টুডেন্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকায় এদিন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা দেখা করেন। পড়ুয়াদের উপাচার্য জানিয়ে দেন, তদন্ত কমিটির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। ফলে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কিছু করণীয় নেই। গত বছর ইডেন হিন্দু হস্টেল ফেরানোর দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। একই দাবি নিয়ে শুরু হয় অনশন। প্রেসিডেন্সির মূল ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। এই ঘটনার পর তৈরি হয় তদন্ত কমিটি। ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে গত বছর ডিসেম্বরে তিন জন ছাত্রকে ছ মাসের জন্য সাসপেন্ড এবং আঠারো জন ছাত্রকে সতর্ক করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের বক্তব্য, সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে আগে। গেট বন্ধ করে আন্দোলন করার সময় বহু ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এসএফআই নেত্রী অনন্যা দাশগুপ্ত জানান, কোন যুক্তিতে পাঁচশোরও বেশি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ওই একুশজনকে বেছে নেওয়া হলো এবং তার মধ্যে কেন বিশেষভাবে তিনজনকেই “নেতৃত্ব” হিসাবে চিহ্নিত করা হলো তা জানার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটির তদন্ত-পদ্ধতিও জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও সদুত্তর দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।