উচ্চ মাধ্যমিকের পর পেশা হতে পারে ফ্যাশন ডিজাইনিং

নয়াদিল্লি: ফ্যাশন ডিজাইনিং, এই শব্দবন্ধের মাহাত্ম্য যে কতখানি তা জেনারেশন নেক্সটকে দেখলেই বোঝা যায়। চাকরির বাজারে নিজেকে এগিয়ে রাখতে আজ প্রত্যেকেই দারুণ রকমের ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠেছেন।তাই ইউনিক কালেকশনের বুটিকগুলিতে ক্রেতাদের ভিড়ও লক্ষ্যণীয়। এই চাহিদা মেটাতে সঠিক ফ্যাশন সচেতন লোকজনেরও প্রয়োজন, আর তারজন্য জানতে হবে ফ্যাশন কমিউনিকেশন, ফ্যাশন টেকনোলজি ও ফ্যাশন ডিজাইনিং। এতসব কিছু জানতে

উচ্চ মাধ্যমিকের পর পেশা হতে পারে ফ্যাশন ডিজাইনিং

নয়াদিল্লি: ফ্যাশন ডিজাইনিং, এই শব্দবন্ধের মাহাত্ম্য যে কতখানি তা জেনারেশন নেক্সটকে দেখলেই বোঝা যায়। চাকরির বাজারে নিজেকে এগিয়ে রাখতে আজ প্রত্যেকেই দারুণ রকমের ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠেছেন।তাই ইউনিক কালেকশনের বুটিকগুলিতে ক্রেতাদের ভিড়ও লক্ষ্যণীয়। এই চাহিদা মেটাতে সঠিক ফ্যাশন সচেতন লোকজনেরও প্রয়োজন, আর তারজন্য জানতে হবে ফ্যাশন কমিউনিকেশন, ফ্যাশন টেকনোলজি ও ফ্যাশন ডিজাইনিং।

এতসব কিছু জানতে গেলে তো পড়াশোনা করতে হয়, তবে বাড়ি বসে নেট ঘেঁটে পড়লে একটা প্রাথমিক ধারণা তৈরি হতে পারে। কিন্তু বিষয়টিতে ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে গেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের কাছে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি। এদিকে সবেমাত্র উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে, রেজাল্ট বেরলেই কলেজে ভর্তির ব্যাপার রয়েছে। এতদিন এক নিয়মে পড়াশোনা চলেছে, এবার একটু হলেও তার গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। সেই প্রকৃতিতে নিজেকে শামিল করতে নিশ্চই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে,অনেকেই তো সায়েন্স নিয়ে পড়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, গবেষক হবে, কেউবা আর্স নিয়ে পড়ে অধ্যাপক, কেউ বাণিজ্যবিভাগে পড়াশোনা করে সিএ, ব্যাংক ম্যানেজারের চাকরি করবে। অনেকেই স্রোতের উল্টো মুখে হেঁটে অন্যকিছু করতে চাইবে। তাদের জন্যই ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের অপশন খোলা আছে। যদি রঙের বৈচিত্র নিয়ে ভাললাগা থেকে থাকে তাহলে ফ্যাশন ডিজাইনিংকে পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। রাজ্যের মধ্যে বেশকিছু সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কোর্সটি করিয়ে থাকে। যেকোনও শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠক্রম সম্পূর্ণ থাকলেই এই কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে।

এই ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের মধ্যে শুধু কেতাদূরস্ত পোশাকই নয়, থাকছে, অ্যাকসেসরিজ, টেকস্টাইল, নিট ওয়্যার ডিজাইন, লেদার ডিজাইনের মতো বিষয়, চাইলে ফ্যাশন কমিউনিকেশনও সঙ্গে পড়ে নেওয়া যায়। তবে ফ্যাশন টেকনোলজির কোর্সটি সম্পূর্ণ আলাদা, আর কলকাতার খুব বেশি প্রতিষ্ঠানে এই কোর্স করার সুযোগও নেই। হাল আমলের ফ্যাশনকে গুলে খেতে হবে, বলাবাহুল্য, শুধু নতুন প্রজন্মই যে ফ্যাশন সচেতন হয় এমন নয়, বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তির মধ্যেই ফ্যাশন সচেতনতা দেখা যায়। মূলত, রুচি পছন্দের উপরেই এর গতিপ্রকৃতি নির্ভর করে। যদি টুকরো কাপড় নিয়েও নতুন কিছু তৈরি করে ফেলার ইচ্ছে সুপ্ত থেকে থাকে তবে এই কোর্সটি করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যায়। ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের পাঠ সম্পূর্ণ করে স্বাধীন ভাবে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, কোনও ফ্যাশন হাউসের সঙ্গে কাজ করে বাজারের হালচাল বুঝে পরেও নিজের একক ব্যবসা শুরু করা যায়। বিভিন্ন পোশাক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বুটিকগুলিও ফ্যাশন ডিজাইনার হায়ার করে এমনকী, ফ্রিলান্সার হিসেবেও এসব জায়গায় কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই পড়াশোনা করে হাহুতাশের প্রয়োজন পড়বে না। তাই এখন থেকেই লেগে পড়া উচিত রেজাল্ট বেরোতে তো খুব বেশি দেরিও নেই তাই না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + nineteen =