বাম আমলের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিস্ফোরক ‘বামপন্থী’ অভিজিৎ!

কলকাতা: তাঁকে ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি৷ বিতর্ক হওয়ার কথাও ছিল না৷ তবুও হল৷ চর্চায় বিশ্ব অর্থনীতির দিশা দেখিয়ে নোবেলজয়ী বাঙালি গবেষক অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের সমর্থন করায় তাঁকে ‘বামপন্থী’ তোকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে৷ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বামপন্থী’ বলে দিয়েছিলেন আখ্যা৷ কিন্তু সেই ‘বামপন্থী’ অভিজিৎ এবার বাম জমানার

imagesmissing

কলকাতা: তাঁকে ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি৷ বিতর্ক হওয়ার কথাও ছিল না৷ তবুও হল৷ চর্চায় বিশ্ব অর্থনীতির দিশা দেখিয়ে নোবেলজয়ী বাঙালি গবেষক অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের সমর্থন করায় তাঁকে ‘বামপন্থী’ তোকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে৷ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বামপন্থী’ বলে দিয়েছিলেন আখ্যা৷ কিন্তু সেই ‘বামপন্থী’ অভিজিৎ এবার বাম জমানার শিক্ষাব্যবস্থা বিরুদ্ধে চড়ালেন সুর৷

বহুল প্রচারিত বাংলার একটি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রাক্তন সম্পাদককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাম জমানার শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যত ধইয়ে দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছেন, ‘‘রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে কী কী করেছে, তা আমি নিজের চোখে দেখেছি৷ শিক্ষকদের যেখানে খুশি, সেখানে বদলি করে দেওয়ার চল ছিল৷ তখন কলেজে অনুদান পৌঁছত যৎসামান্য৷ আজেবাজে লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ আলো করে বসানো হত৷ এই নিয়ে আমার বাবা নিজে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন৷ সব আমার জানা আছে৷’’

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় বাম অধঃপতন প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, ‘‘হয়তো বামফ্রন্ট সরকার ভুলভাল লোকদের শিক্ষক পদে চাকরি দিয়েছিল৷ এটাও ঠিক, এখন তা মুড়ি-মুড়কির এক দর হয়ে গিয়েছে৷ মাপা হচ্ছে এক দাড়িপাল্লায়৷’’ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার অধঃপতন ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অভিজিৎবাবুর মন্তব্য, ‘‘কলকাতা দেশের অন্যতম সম্পন্ন শহর ছিল৷ মানুষের হাতে ছিল উদ্বৃত্ত টাকা৷ স্বাধীন চিন্তা ভাবনাকে সব সময় স্বাগত জানিয়ে এসেছে এই শহর৷ সেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আজ ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে৷ আর তার ছাপ পড়ছে নতুন কিছু করার প্রবণতায়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *