নিজস্ব শিক্ষা নীতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের!

নিজস্ব শিক্ষা নীতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের!

কলকাতা:  আর জাতীয় শিক্ষা নীতি নয়। নিজস্ব রাজ্য শিক্ষা নীতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠন হয়েছে ১০ সদস্যের কমিটি। এখানে রয়েছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গায়ত্রী চক্রবর্তী, ইতিহাসবিদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন লোকসভা সদস্য সুগত বসু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সংস্কৃত ভাষা বিশেষজ্ঞ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। রাজ্য শিক্ষা দফতরের এই কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে উক্ত বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন। মহারাষ্ট্র এবং কেরালার শিক্ষায় এগিয়ে থাকায়, সে রাজ্য গুলি থেকেও স্বাধীন শিক্ষা নীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি অনুসরণ করার চেষ্টা করা হতে পারে। এই কমিটি আগামী দিনে নিজস্ব শিক্ষানীতি গঠনে পরামর্শ দেবে।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে আগেই ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্র সরকার জোর পূর্বক তাদের নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের উপর। তার বিরোধিতা করেই রাজ্য সরকার  নিজস্ব শিক্ষানীতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বাংলা আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতি পরিবর্তে নিজস্ব নীতি প্রয়োগ করবে। তিনি বলেছিলেন, শিক্ষা সমকালীন তালিকায় রয়েছে। ছাত্রদের স্বার্থ ও চাহিদা বিবেচনায় রাষ্ট্র তার শিক্ষানীতি প্রণয়নের অধিকার ভোগ করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে দশ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্যানেল দুই মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমাদের শিক্ষানীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর কারণ হিসেবে উঠে আসে, বাংলায় জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে কিছু বিতর্কিত বৈশিষ্ট্য, অস্পষ্ট মাতৃভাষা নীতি, হিন্দি প্রচার, স্নাতক কোর্সের জন্য সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং স্কুলগুলিতে সাধারণ পরীক্ষার কারণে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। রাজ্য কেন্দ্র কড়চা এবার শিক্ষা বিভাগেও এসে পৌঁছেছে। কমিটির বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে ভারতের মতো একটি দেশে যেখানে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে,  সেখানে সমগ্র ভারতে একই জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর হতে পারে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *