উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম জলপাইগুড়ির সমাদৃতা, ফল ঘোষণা হতেই বাড়িতে এল রসগোল্লার হাঁড়ি

উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম জলপাইগুড়ির সমাদৃতা, ফল ঘোষণা হতেই বাড়িতে এল রসগোল্লার হাঁড়ি

জলপাইগুড়ি: শহরে এখন খুশির আমেজ। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে শহরের মেয়ে। গভমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকারা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তারা জানতেন ভালো ফল সমাদ্রিতা করবেই।  অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের সমাদৃতা পড়াশোনায় সবসময়ই ভালো। কেবল ভালোবেসেই পড়ে যায়। সে কারণেই এই সাফল্য। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অষ্টম স্থানে রয়েছে সমাদৃতা দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১।

সমাদৃতা বরাবর ঠান্ডা স্বভাবের মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করছে। পাশাপাশি আঁকতে ভালোবাসে। হাতের কাজ নিয়েও মশগুল থাকে সে। পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী। স্কুলে তার যথেষ্ট সুনাম। এই কারণে পড়াশোনার মধ্যেও এই সব কিছু অতি যত্ন সহকারে সে করতে পারে। এটাই হয়তো তার সব থেকে বড় কৃতিত্ব। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে তার নাম ছিল না। সে কারণে কিছুটা বিমর্ষ হয়েছিল সমাদ্রিতা। বাবাকে বলেছিল এবারে হল না। উচ্চ মাধ্যমিকে সে দেখিয়ে দেবে। কথা রেখেছে মেয়ে। যদিও পরিবারের কেউ কখনও এত ভালো রেজাল্ট করতেই হবে৷ এই বলে চাপ দেয়নি।

শুক্রবার বেলা ১১ টায় ফল প্রকাশিত হয়। সম্ভাব্য অষ্টম স্থানে সমাদৃতার নাম। প্রথমে কিছুটা বুঝতে সময় লেগেছিল। পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসতে শুরু করে। স্কুলের শিক্ষিকারাও ফোন করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি গভমেন্ট গার্লস স্কুলের কৃতি ছাত্রী হিসেবে তার নাম লেখা হয়ে গেল। নিয়ম করে ঘড়ি ধরে কখনওই সে পড়তে বসে না। ইচ্ছে যখন হয়েছে সে পড়তে বসেছে। পড়াকে বরাবর সে ভালোবেসে গ্রহণ করেছে। মনোযোগ ছিল বলেই এত ভালো ফল। এই কথা বলছে আশেপাশের লোকজন। মাধ্যমিকের পর ভূগোল, সংস্কৃত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও মিউজিক এই বিষয়গুলি বেছে নেয় সে।

 

করোনা আবহে পড়াশোনা নিয়ে সমস্যা ছিল। স্কুলে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে সেক্ষেত্রে। স্কুলের শিক্ষিকারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে তাদের পড়াশোনায় সাহায্য করেছেন। এছাড়াও গৃহশিক্ষক পড়াতেন তাকে। এরপর ইউপিএসসি পড়ার ইচ্ছে তার। প্রতিবেশীরা বাড়িতে ভিড় করছেন ফল শোনার পরেই। মিষ্টি খাওয়ানোর ধুম শুরু হয় আদরের মেয়েকে। মা বাবা ভীষণ খুশি।  আগামী জীবন আরও প্রশস্ত হোক। চাইছেন আত্মীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 17 =