মাধ্যমিকের উত্তরপত্রে লেখা উদ্ধারে কালঘাম ছুটছে শিক্ষকদের

মাধ্যমিকের উত্তরপত্রে লেখা উদ্ধারে কালঘাম ছুটছে শিক্ষকদের

কলকাতা: করোনা-আবহে দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকার পরে হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে পরীক্ষকরা হতবাক। উত্তরপত্রে লেখা বুঝতে তাদের কাল ঘাম ছুটছে। তাদের দাবি, পড়ুয়াদের অনেকেই এই দীর্ঘ স্কুল বন্ধ কালে অক্ষর ভুলে গিয়েছে। একটা-দু’টো নয়, অক্ষর চেনা যাচ্ছে না এমন খাতার সংখ্যা অজস্র বলেই দাবি পরীক্ষকদের। কোনও উত্তরপত্রে পাতার পর পাতা জুড়ে যা লেখা রয়েছে, তার একটি বর্ণও উদ্ধার করতে পারেননি পরীক্ষকেরা। আর লেখা বোঝা যায়নি বলে নম্বরও দিতে পারেননি তারা।

মাধ্যমিক পরীক্ষার এক পরীক্ষক এই বিষয়ে বলেন, ‘আমারা দেখেছি প্রশ্ন পত্রে থাকা ইংরেজি-বাংলা অংশ গুলো হুবহু টুকে যাচ্ছে, সময়ের আগে লেখা শেষ হয়ে গেলে চুপ চাপ বসে থেকেছে, পারছে না বলে অন্যদের দেখে বা জিজ্ঞাসা করার যে সহজাত প্রবৃত্তি আগে আমরা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দেখতাম, তাও তারা ভুলে গেছে৷’ এবছরের পরীক্ষার্থীদের  এমন করুন অবস্থায় দেখে মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা সুজাতা বসু বলেন, ‘ একসময় স্কুলের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট টিউটরদের কাছে শিক্ষার্থীরা ছুটতো স্কুল কামাই করে। এই দুবছর স্কুল বন্ধ থেকে যদি শিক্ষার্থীদের এমন পরিনতি হয় তবে বোঝায় যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কোনটি বেশি৷’ উত্তর পত্রের যাচাই করতে গিয়ে নম্বর দেওয়ার জায়গা খুঁজতে হচ্ছে শিক্ষকদের, তারা লেখা উদ্ধার করতে না পেরে খাতায় লিখে দিচ্ছেন, ‘ এই লেখা পড়া সম্ভব নয়’। তারা এই বিষয় গুলি সবই পর্ষদকে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 16 =