কলকাতা: দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে রাজ্যে খুলেছে স্কুল৷ কিন্তু স্কুল খোলা নিয়ে এবার মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে৷ মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেন, অনেক ছাত্র আছে যারা স্কুলে গেলেও বয়সের মাপকাঠির বাইরে থাকায় ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। তাদের কি হবে? অনেক স্কুল তো ১০০% উপিস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে৷
আরও পড়ুন- সঙ্গী চাইলে নাম লেখান! ভ্যালেন্টাইনস-ডে পালনের বিজ্ঞপ্তি যাদবপুরে
এর পরেই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, এমন কত ছাত্র আছে? অ্যডভোকেট জেনারেল জানান, যিনি মামলাকারী তিনি অভিভাবক নন। তিনি বীরভূম জেলার মানুষ। নিউটাউনের একটি স্কুলের বিজ্ঞপ্তির কথা বলা হয়েছে। যে আবেদন করা হয়েছে তা খুবই বিপজ্জনক৷
অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছরের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে৷ বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩.৩৭%৷ ২৭ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সরকারের টার্গেট ১৪ বছর ১ দিন অর্থাৎ ১৫ বছর বয়সীদের টিকাদান জানুয়ারি ২০২৩ এর মধ্যে সম্পন্ন হবে৷
অ্যাডভোকেট জেনারেলের দাবি, স্কুল খোলা নিয়ে এই আবেদনের কোনও গ্রহণ যোগ্যতা নেই। শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকরা যদি কোনও প্রস্তাব দেন সরকারের সেই দরজা সব সময় খোলা আছে। স্কুল ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার স্কুলে স্বরস্বতী পূজায় ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্কুল খোলা নিয়ে কোনও স্কুল অবজেকশন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়নি।
অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, একদল আবেদনকারী বলছে স্কুল খুলতে৷ আরেক দল আবেদনকারী বলছে স্কুল বন্ধ করতে। সরকার কি করবে? অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, এই মামলায় কেন্দ্র সংযুক্ত হতে চায় না। তবে কেন্দ্র স্কুল খোলার পক্ষে৷ শুনানি শেষে স্কুল খোলা নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷ তবে মামলাকারী উপযুক্ত নথি দিয়ে পরবর্তীকালে আবেদন জানাতে পারবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।