কলকাতা: কিছুদিন আগে থেকেই একটি খবর প্রায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে হার সরিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা বেসরকারিকরণের পথে যেতে পারে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে। আরও জানা গিয়েছিল যে, এর জন্য ইতিমধ্যেই একটি খসড়া নীতি তৈরি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এই ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা তোপ দাগতে শুরু করেছে মমতার সরকারকে। চরম আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই খসড়াকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করে সাফাই দিয়েছে শিক্ষা দফতর। এবার এই নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷
রাজ্য সরকার এবং সরকার পোশিত বিদ্যালয়গুলিতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা দফতর এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আজ কলকাতায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। বিষয়টির মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সেই থেকেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে ব্রাত্য বাসু জানিয়েছেন৷
সরকারি স্কুলগুলির কি বেসরকারিকরণ করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর ছিল, রাজ্য সরকার শিক্ষাঙ্গনের জমি, বিল্ডিং সহ সব বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তারা প্রত্যক্ষভাবেই বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে বেসরকারি হাতেই তুলে দেওয়া হবে সরকারি জমি এবং বাড়ি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইহই কাণ্ড। বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম সহ বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। আজ বাম ছাত্র সংগঠনের তরফেও বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ গোটা রাজ্যজুড়ে বিতর্কের পরিস্থিতি তৈরি হতেই স্কুল শিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যে খসড়া নিয়ে এত কথা হচ্ছে তা সঠিক নয়। এই ধরণের কোনও আলোচনা এখনও হয়নি। এবার সেই একই ইস্যুতে মুখ খুললেল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী৷