কলকাতা: করোনা স্ফীতি কিছুটা কমতেই রাজ্যে ফের খুলেছে স্কুল৷ কিন্তু বেশ কিছু স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম৷ পড়ুয়াদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা৷ পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে বাঁকুড়ায় ছাত্রদের বাড়িতেই চলে যান মাস্টারমশাইরা৷ আবার পুরুলিয়া রঘুনাথপুর গার্লস হাইস্কুলে উপস্থিতির হার ছিল মাত্র এক চতুর্থাংশ৷
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীবারে শুরু ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’, কী ভাবে হবে ক্লাস?
মাঝে কিছু দিন বাদ দিলে প্রায় দুই বছর পর ফের খুলেছে স্কুলের দরজা৷ বেজেছে স্কুলের ঘণ্টা৷ বেশ কিছু দিন ধরেই ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল রাজ্যে স্কুল খোলার দাবি৷ সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে চাপ আসছিল৷ কিন্তু স্কুল খুললেও বেশ কিছু জায়গায় ক্লাসরুম যেন খাঁ খাঁ করছে৷ পড়ুয়াদের ক্লাসে আনতে তাদের বাড়িতেই পৌঁছে গেলেন শিক্ষকরা৷ দরজা খুলতেই শিক্ষকদের প্রশ্ন, করোনার জন্য প্রায় দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিল৷ সরকারি নির্দেশে তো স্কুল খুলে গিয়েছে৷ তাহলে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাননি কেন? মাস্টারমশাইয়ের প্রশ্ন শুনে কিছুটা থতমত খেয়ে যান অভিভাবকরাও৷
বাঁকুড়ার পুরন্দরপুর হাইস্কুলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০০৷ কিন্তু স্কুলে উপস্থিত হয়েছিল মাত্র ১০ জন পড়ুয়া৷ অনুপস্থিত পড়ুয়াদের নামের তালিকা তৈরি করে মাস্টারমশাইরা নিজেরাই চলে যান ছাত্রদের বাড়িতে৷ শুধু অভিভাবক নয়, স্কুলে আসার জন্য বোঝানো হয় পড়ুয়াদেরও৷ মাস্টারমশাই সরাসরি পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন৷ পুরন্দরপুর হাইস্কুলের শিক্ষক দীপক দলুই বলেন, স্কুলে উপস্থিতির হার খুবই কম৷ কোথাও একজন, কোথাও দুই জন ছাত্র৷ কয়েকটা ক্লাসে একদম শূন্য৷ এর পরেই শিক্ষকরা মিলিতভাবে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিই৷ কেন এত কম উপস্থিতি? ওই স্কুলেরই এক ছাত্র বলে, সরস্বতী পুজোর জন্য স্কুলে যাইনি৷ পুজো মিটলেই স্কুলে যাব৷
পাশের জেলা পরুলিয়ার রঘুনাথপুরের ছবিটাও একই রকম৷ রঘুনাথপুর গার্লস হাইস্কুলে উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ২৬ শতাংশ৷ তবে প্রধান শিক্ষিকা আশাবাদী, সরস্বতী পুজো মিটলেই পরিস্থিতি বদল হবে৷ সোমবার থেকে ভালো ভাবেই স্কুল চলবে৷