UGC-র নির্দেশিকা মেনে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার জন্য তৈরি ৭৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়

UGC-র নির্দেশিকা মেনে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার জন্য তৈরি ৭৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়

নয়াদিল্লি: ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি)৷  এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ সেই নির্দেশ মেনেই দেশের ৯৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বলে জানাল ইউজিসি৷   

সোমবার ইউজিসি’র তরফে জানানো হয়,  ইতিমধ্যেই ৭৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে৷ তবে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোন পর্যায়ে রয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে৷

একটি বিবৃতিতে ইউজিসি’র সেক্রেটারি বলেন, ‘‘এই ৭৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কিছু পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছে, কিছু আবার পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে৷’’ জানা গিয়েছে, ৫৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে এবং ৩৬৬টি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন, অফলাইন বা দুটি পদ্ধতির মেলবন্ধনে পরীক্ষা পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৯-২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বছরই প্রথম স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে চলেছে৷’’ 

করোনা পরিস্থিতিতে প্রথমে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল ইউজিসি৷ বলা হয়েছিল অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷ তবে পরবর্তী সময়ে বলা হয়, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা বাতিল করা হবে না৷ এছাড়াও ইউজিসি’র নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টার্মিনাল সেমিস্টারের কোনও পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে, যখন সম্ভব হবে তখন নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে বিশেষ পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে৷

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সুপারিশ অনুযায়ী পরীক্ষা পরিচালনার জন্য গত ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) সম্পর্কে জানায় ইউজিসি৷ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে ইউজিসি-কে তারা জানিয়ে দিয়েছে৷ এদিন ইউজিসি’র তরফে আরও একবার বলা হয়, ‘‘পরীক্ষা শিক্ষাব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স তাঁর মেরিট, বিশ্বাস যোগ্যতা তৈরি করে৷ সারা বিশ্বে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা, বৃত্তি, পুরস্কার এবং ভবিষ্যতের উন্নতি এই পরীক্ষার ফলাফলের উপরেই নির্ভরশীল৷’’  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − three =