কলকাতা: টানা ১৯ দিন কেটে গেলেও কাটল না জট৷ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হওয়া পড়ুয়ারা গত ২ এপ্রিল থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন নিউ টাউন ক্যাম্পাসে মূল গেটের সামনে৷ ১৮ দিন পরেও অবস্থানে অনড় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন ছাত্র। কর্তৃপক্ষের শর্ত মানতে নারাজ তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেন, ‘‘যে সব ছাত্র ক্যাম্পাসে বারবার গোলমাল ও অশান্তির ঘটনায় জড়িত, তারা শাস্তি শেষে পরীক্ষায় বসতে পারলেও আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কোর্সে নতুন করে ভর্তি হতে পারবে না৷’’ আন্দোলনকারীদের তরফে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের পাল্টা দাবি, ‘‘পড়ুয়াদের নিজেদের ঝামেলায় রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এত বড় সিদ্ধান্ত নেন না। মারধরের ঘটনা আমরা অস্বীকার করছি না। শিক্ষকদের একাংশের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে আগের উপাচার্যের আমলে সরব হয়েছিলাম বলেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা বর্তমান উপাচার্যকে ভুল পথে চালিত করছেন। শাস্তি পুরোপুরি প্রত্যাহার না করলে অনশন চলবে৷’’
অনশনকারী ছাত্রদের কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ১৮ এপ্রিল জরুরিভিত্তিতে কার্যনিবাহী সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছিল৷ কর্তৃপক্ষ সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অনশনকারী ছাত্রেরা কেবল পরীক্ষায় বসতে পারবেন৷ তবে আলিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও হস্টেলে থাকার অনুমোদন তাঁদের দেওয়া হয়নি৷ এতেই ক্ষুব্ধ অনশনকারী ছাত্রেরা লাগাতার আন্দোলন চালানোর হুমকি দিয়েছেন৷
গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের একাংশকে মারধর, বেআইনি ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে পড়ুয়াদের বায়োমেট্রিক চালু ও হস্টেলের ক্যান্টিন দখল করার মতো গুরুতর অভিযোগে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে ২০১৮-র ৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি বহিষ্কার ও সাসপেন্ড করেছিল৷ তারই প্রতিবাদে চলছে অনশন বিক্ষোভ৷