দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দুর্ঘটনার ১০ শতাংশই ঘটে কলকাতায়

দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দুর্ঘটনার ১০ শতাংশই ঘটে কলকাতায়

cd1941792ad9abf2310d8fd4505a1ff0

 

কলকাতা: দেশের স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কিংবা সংলগ্ন এলাকায় হওয়া দুর্ঘটনার ৯.৭ শতাংশই কলকাতা শহরের অবদান। ২০১৯ সালে এরকম ধরণের ৩৫টি আঘাতের ঘটনা ঘটেছে শহরে। যদিও শহরে ঘটা দুর্ঘটনার মাত্র ১.৫ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা স্কুলের সামনে বা সংলগ্ন এলাকায় ঘটে থাকে। কলকাতার ট্রাফিক পুলিশ অফিসাররা জানিয়েচেন স্কুলগুলি ফের চালু হলে তাঁরা এ বিষয় নিয়ে বার্তা দেবেন।

স্কুলের বাইরে বহু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ২০২০ সালে। পরবর্তী বহুদিন ধরে এ ধরণের কাজে ফল মিলবে বলেও মনে করেন তাঁরা। এই নতুন ধরণের কর্মসূচির আওতায় স্কুল পরিদর্শন এবং সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ অভিযানও রাখা হবে বলে জানা গেছে। কর্মসূচির আওতায় থাকবে পুলকার ও বাস পরিষেবা মূল স্রোতে আনা, স্কুল গেটের সামনে অযথা ভিড় না করা, রাস্তা পার করতে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য স্কুলের সামনে পুলিশকর্মী মোতায়েন করার ভাবনা।

যদিও শহরের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান লখনউ কিংবা মুম্বইয়ের চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো। তবে দিসল্লির পরিসংখ্যান কলকাতার থেকে সবদিকের বিচারে খারাপ হলেও স্কুলটাইমে দুর্ঘটনার সংখ্যা তারা ছাব্বিশে নামিয়ে এনেছে। গত দুবছরে বালিগঞ্জ পার্ক সার্কাস পার্ক স্ট্রিট এলাকায় স্কুলটাইমে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। কলেজ এলাকায় থাকা পুলিশকর্মীদের আশঙ্কা বাড়িয়ে সেই এলাকাগুলিতে দুর্ঘটনার সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। সাউথ গার্ডের এক আধিকারিকের মতে দুর্ঘটনার মূল কারণ যুব সম্প্রদায়ের ট্রাফিক নিয়ম না মানার প্রবৃত্তি।

যদিও লালবাজারের আধিকারিকরা এহেন সরল সমীকরণে বিশ্বাসী নন। তাঁদের মতে কলকাতার রাস্তার মিশ্র ব্যবহার ট্রাফিকের ক্ষেত্রে এক বড়সড় চ্যালেঞ্জ। হাইস্কুলের পড়ুয়া কিংবা কলেজ পড়ুয়াদের থেকে গাড়িচালকরা যে অনেক বেশি সচেতন তা স্বীকার করছেন ট্রাফিক কর্মীরাই। ছুটে বাসে ওঠা নামা এবং ঝুলে ঝুলে যাওয়াও দুর্ঘটনার বড় কারণ বলে মনে করেন তাঁরা। দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার পরিসংখ্যানে ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলেও জানান তাঁরা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *