নয়াদিল্লি: করোনা রুখতে জারি হয়েছিল বিশ্বের দীর্ঘতম লকডাউন৷ দীর্ঘ লকডাউন হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি সংক্রমণ৷ একদিকে যেমন করোনার প্রভাব, অন্যদিকে বেহাল দেশের অর্থনীতি৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকা বাঁচাতে পথে মানতে বাধ্য হয়েছে জনতা৷ করোনা সংক্রমণ রুখতে টানা ৭ মাস বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজ খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ কিন্তু, তার মধ্যে নতুন করে উদ্বোগ বাড়িয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে আইসিএমআর৷ আর তাতেই জল ঢালতে চলেছে স্কুল খোলার তৎপরতায়৷
আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব উদ্বেগ বাড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কোভিড সংক্রমণ বিপুল হারে ছড়াতে পারে শিশুরা৷ এত দিন মনে করা হচ্ছিল, শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তুলনায় কম৷ কিন্তু, আইসিএমআরের সমীক্ষা সমস্ত ধারণা এবার বদলে দিয়েছে৷ আইসিএমআরের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতে ১৭ বছর বয়েসের নিচে মাত্র ৮% সংক্রমণের শিকার হয়েছে৷ দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷
আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল ভার্গব জানিয়েছেন, ৫ বছরের কম শিশুদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১ শতাংশের কম হলেও বাড়ছে উদ্বেগ৷ সাধারণত ৫ বছরের কম শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের আক্রমণ বাড়ছে৷ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে৷ জ্বর-সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ স্নায়বিক বৈকল্য ঘটেছে বলেও জানানো হয়েছে৷
আইসিএমআরের এই তথ্যে নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ৷ কেননা, আনলক-৫ পর্বে স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই স্কুল খুলে গিয়েছে৷ বাংলায় কবে, কীভাবে স্কুল খুলবে? সে বিষয়ে এখন ভাবা যাচ্ছে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শীতের সময় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ফলে, আগামী দিনে স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে নতুন করে তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ৷ কেননা, দেশের বড় অংশের পড়ুয়ার বয়স ১৮ বছরের নিচে৷ প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের নিয়ে এবার বাড়ছে চিন্তা৷