কলকাতা: পরীক্ষা নেওয়ার ছ’মাস পর প্রকাশিত হল রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টের ফল৷ www.wbjeeb.in ও www.wbjeeb.nic.in ওয়েবসাইট থেকে র্যাঙ্ক কার্ড ডাউনলোড করা যাবে৷ কিন্তু, এবারের রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে বাংলা বোর্ড৷ মেধাতালিকার প্রথম দশে কেন্দ্রীয় বোর্ডের জয়জয়কার দেখা গিয়েছে৷ প্রথম দশমের মেধাতালিকায় মাত্র একজন পরীক্ষার্থী বাংলা বোর্ডের পড়ুয়া৷ তবে সামগ্রিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ৫১ শতাংশ র্যাঙ্ক কার্ড পেয়েছেন৷
শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করেন, কেন্দ্রীয় বোর্ডের সিলেবাস মূলত জয়েন্ট ভিত্তিক৷ আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বোর্ডের পড়ুয়ারা রাজ্য জয়েন্টে সাফল্য পেয়েছেন৷ সেই তুলনায় বাংলা বোর্ডের পড়ুয়ারা পিছিয়ে পড়েছেন৷ এবারে রাজ্য জয়েন্টের মেধাতালিকায় প্রথম ৭টি স্থান দখল করে নিয়েছে সিবিএসই-র পড়ুয়ারা৷ ২ জন পরীক্ষার্থী আইসিএসই পড়ুয়ারা৷ মাত্র একজন উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ৷ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এবার রাজ্য জয়েন্টের প্রথম সৌরদীপ দাস রায়গঞ্জের বাসিন্দা হলেও ঝাড়খন্ড রাজ্যের পড়ুয়া৷ একমাত একজন অষ্টম স্থানে থাকা অরিত্র মিত্র, আর্য বিদ্যামন্দির, বাংলা বোর্ডের পড়ুয়া৷ বাকি মেধা তালিকায় থাকা পড়ুয়া অধিকাংশ কেন্দ্রীয় বোর্ডের৷
এবার রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে মোট ৭৩ হাজার ১১৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন৷ তার মধ্যে র্যাঙ্ক কার্ড পেয়েছেন ৭২ হাজার ২৯৮ জন পড়ুয়া৷ এবার যারা শূন্যের বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের র্যাঙ্ক কার্ড দেওয়া হয়েছে৷ সার্বিকভাবে র্যাঙ্ক কার্ড পাওয়া ৫১ শতাংশ পরীক্ষার্থী রাজ্য বোর্ডের পড়ুয়ারা৷প্রথম দশের মেধা তালিকায় কেন্দ্রীয় বোর্ডের দাপটে পিছিয়ে বাংলা৷ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়াদের সাফল্যের হার বাড়লেও প্রতিযোগিতার দৌড়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে বাংলার পড়ুয়ারা৷ সিবিএসই পড়ুয়ারা ৩১ শতাংশ সফল পেয়েছেন৷ আইসিএসই বোর্ডের ৩ শতাংশ পড়ুয়ারা সফল হয়েছেন৷ যদিও রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি ছিল৷ সার্বিকভাবে ফলফল পর্যালোচনায় দেখা যাবে, কেন্দ্রীয় বোর্ডের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের বেশ পিছিয়ে পড়েছে৷
মেধাতিলায় প্রথম রায়গঞ্জের সৌরদীপ দাস৷ এবার রাজ্যে প্রথম হয়েছেন সৌরদীপ দাস, রায়গঞ্জের পড়ুয়া। দ্বিতীয় স্থানে শুভম ঘোষ, দুর্গাপুরের পড়ুয়া। শ্রীমন্তী দে, ঢাকুরিয়ার পড়ুয়া। রাজ্যে ছাত্রীদের মধ্যে প্রথম শ্রীমন্তী৷ রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে চতুর্থ হয়েছেন উৎসব বসু, সাউথ পয়েন্ট, কলকাতা৷ পঞ্চম স্থানে পূর্ণেন্দু সেন, ডি এ ভি মডেল স্কুল, দুর্গাপুর৷ ষষ্ঠ স্থানে অঙ্কুর ভৌমিক, ডিপিএস, কলকাতা৷ সপ্তম সোহম সমাদ্দার, গার্ডেন হাই, সল্টলেক৷ অষ্টম অরিত্র মিত্র, আর্য বিদ্যামন্দির, কলকাতা৷ নবম স্থান অধিকার করলেন গিরিক মাসকারা, সেন্ট জনস স্কুল, সল্টলেক৷ দশম স্থান অধিকার করলেন অর্ক দত্ত, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল৷
রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে অন লাইনে কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা৷ এই কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে কাউন্সেলিং ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে৷ লাগবে না কোনও ফি৷ যাঁরা র্যাঙ্ক করবেন তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনও টাকা লাগবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হবে৷ খুব সম্ভবত ১২ আগস্ট থেকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বোর্ড৷ তবে, এবিষয়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে৷ফলফল, ভর্তি, কাউন্সেলিং পক্রিয়া সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে পড়ুয়া সরাসরি ১৮০০-১০২৩-৭৮১, ১৮০০-৩৪৫০-০৫০ নম্বরে ফোন করতে পারবেন পড়ুয়ারা৷