মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অনশনরত প্রার্থীদের উপরে নৃশংস পুলিশি হামলা, প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন মহল

আজ বিকেল: এসএসসি প্রার্থীদের অনশন উঠে গেলেও সেই রেশ এখনও কাটেনি, তারমধ্যেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অনশনরত প্রার্থীদের উপরে চলল পুলিশের দাদাগিরি।এলোপাথাড়ি লাঠিপেটায় তিন অনশনকারী প্রার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।তাঁদের মধ্যেমনিরুল ইসলাম নামের এক প্রার্থীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির ঘা থেকে বাদ যাননি মহিলা অনশনকারীরাও। ভোরবেলা যখন শ্রান্ত হয়ে অনশনমঞ্চে তাঁর ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময়ই

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অনশনরত প্রার্থীদের উপরে নৃশংস পুলিশি হামলা, প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন মহল

আজ বিকেল: এসএসসি প্রার্থীদের অনশন উঠে গেলেও সেই রেশ এখনও কাটেনি, তারমধ্যেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অনশনরত প্রার্থীদের উপরে চলল পুলিশের দাদাগিরি।এলোপাথাড়ি লাঠিপেটায় তিন অনশনকারী প্রার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।তাঁদের মধ্যেমনিরুল ইসলাম নামের এক প্রার্থীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির ঘা থেকে বাদ যাননি মহিলা অনশনকারীরাও। ভোরবেলা যখন শ্রান্ত হয়ে অনশনমঞ্চে তাঁর ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময়ই পুলিশ ও সাদাপোশাকের কয়েকজন তাঁদের উপরে নৃশংস হামলা চালায়।

যদিও এই হামলার কথা মানতে নারাজ ডিসি সাউথ মীরাজ খালিদ। তাঁর দাবি অনশনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। কেউ আহত হয়ে হাসপাতালেও যায়নি। যদিও তিনি তিন অনশনকারীর গ্রেপ্তারির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। এই তিনজনের মধ্যে রয়েছেন গুরুতর আহত মনিরুল ইসলাম, মনোজ চক্রবর্তী ও মিজানুর রহমান। এদিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পাশ করা প্রার্থীদের উপরে এই পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। এই চাকরি প্রার্থীরা ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে তাঁরা পাশ করেছেন।রাজ্যে বিভিন্ন মাদ্রাসায় গণহারে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ছে, অথচ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের তরফে নিয়োগের কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সেই মামালার রায়ে জানানো হয় প্যানেল তৈরি করে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হোক, সেই রায়কেও পাত্তা দিচ্ছে না কমিশন। তাই বুধবার এসএসসি প্রার্থীরা অনশন তুলে নিলে তাঁরা অনশনে বসেন। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেন, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুলিশ যেভাবে সিভিল ভলান্টিয়ার দিয়ে পেটাল তা অমানবিক। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই যে চাকরি প্রার্থীদের উপরে অকাতরে কিল,ঘুষি, লাথি, লাঠি, চড় চলল তা কোনও গণতান্ত্রক চেতনা সম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারে না। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তাঁদের দাবির বিচার না করে যে অন্যায় করা হল তা ক্ষমার অযোগ্য। এই যে জোর কের আন্দোলকে দমিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা এটা গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিরোধী। রাজ্যসরকারের কাছে একটাই আরজি আন্দোলনকারীদের গুলি শুনে তাঁদের সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সমস্ত শিক্ষানুরাগী মানুষ এই দাবিতে সরব হোক এটাই চাইব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =