কলকাতা: করোনা রুখতে জারি হয়েছিল দীর্ঘ লকডাউন৷ তারপর ধারে ধাপে শুরু হয়েছে অনলক পর্ব৷ গোটা লকডাউন ও আনলক পর্ব মিলিয়ে জেরবার জনজীবন৷ সরাসরি প্রভাব পড়েছেন অর্থনীতিতে৷ করোনা আবহে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ আয় কমেছে সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনতার৷ আগামী দিনগুলি কীভাবে কাটবে, ভেবে ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না জনতা৷ করোনা মহামারীর সুযোগে বহু স্কুল ইতিমধ্যেই বেশ খানিকটা বাড়িয়েছে ফি৷ বর্ধিত স্কুল ফি মেটাতে সাধারণে জনতা বিকাপে পড়লেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় হুঁশিয়ারি, আর্জি ছাড়া আর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সরকারি৷ সমস্যা মেটাতে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের শেষ ভরসা ছিল আদালত৷ এবার সেই আদালতে কার্যত ধাক্কা খেলেন অভিভাবকদের একাংশ৷
বেসরকারি স্কুলে বর্ধিত স্কুল ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের একটি সংগঠন৷ আজ ছিল সেই মামলার শুনানি৷ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বকেয়া স্কুল ফি আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যেই দিতে হবে৷ আদালতে লকডাউন পর্যায়ে স্কুল ফি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে মামলায় এই অভিভাবকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
আপাতত ৪৫টি স্কুলে এই নিয়ম কার্যকর করতে হবে বলেও জানান হয়েছে৷ যদিও এর আগে মামলার শুনানিতে অভিভাবকদের ৮০ শতাংশ স্কুল ফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷ এরপর আজ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৫ আগস্টের মধ্যেই সমস্ত বকেয়া মেটাতে হবে৷
আদালত সূত্রে খবর, আজ বিচারক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ অভিভাবদের তরফে স্কুল ফি মকুবের আর্জি করা হয়৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত জানিয়েছে, ল্যাব, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ফি না দিলেও দিতে হবে স্কুল ফি৷ স্বভাবতই আদালতের এই নির্দেশে করোনা আবহে বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেলেন অভিভাবকদের একাংশ৷ পাশাপাশি মামলার কোনও তথ্য স্যোশাল মিডিয়ায় না দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷