মুম্বই: করোনা প্যান্ডেমিকের জেরে দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ রয়েছে স্কুল৷ অথচ প্রায় প্রতিটি বেসরকারি স্কুলেই মাস গেলে দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের ফি৷ যা নিয়ে অনেক অভিভাবকের মধ্যেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ অভিভাবকদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার৷ কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ছয় সপ্তাহের জন্য ফি বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই বলেই একটি রায়ে জানাল বম্বে হাইকোর্ট৷
আদালত জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে অনলাইনে যুক্তিসঙ্গত কিস্তিতে ফি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে দেখতে পারে স্কুলগুলি৷ ছয় সপ্তাহের জন্য বেসরকারি স্কুলগুলির ফি বৃদ্ধি রুখতে গত ৮ মে গভর্নমেন্ট রেজুলেশন আনা হয়েছিল৷ ওই রেজুলেশনে বলা হয়েছিল, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য বেসকারি স্কুলগুলি একসঙ্গে এক বছরের ফি আদায় করতে পারবে না৷ বদলে মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে অভিভাবকদের৷ মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বেসকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি৷
অন্যদিকে রাজ্য সরকার আদালতকে জানায়, ফিজ অ্যাক্ট এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সরকারের৷ আইন মেনেই সরকারি রেজুলেশন আনা হয়েছে৷ কিন্তু সরকারের জবানবন্দি শোনার পর আদালত জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা গিয়েছে, গত ৮ মে রাজ্য সরকার যে রেজুলেশন নিয়েছিল তা আইনত মাফিক নেওয়া হয়নি৷
তবে আদালত জানায়, কোভিড পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমরা সে সম্পর্কে অবগত৷ আমরা চাই, এই সমস্যার দিকটি বিবেচনা করে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ কিস্তিকে ফি নেওয়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখুক৷ পাশাপাশি অনলাইনে ফি জমা করার সুযোগও দেওয়া হোক অভিভাবকদের৷ চূড়ান্ত শুনানি ও মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ৮ মে নেওয়া রাজ্য সরকারের রেজুলেশন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ অগাস্ট৷