নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এই আবহেই প্রাথমিক স্কুল খোলার কথা চিন্তা ভাবনা করার পরামর্শ দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর। তাদের বক্তব্য, প্রাথমিক স্কুল শুরু করার চিন্তাভাবনা করা উচিত রাজ্য সরকারগুলির। দাবি করা হচ্ছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রেও একই মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই আবার স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করা উচিত রাজ্য প্রশাসন গুলির। আইসিএমআর জানাচ্ছে, স্কুলের কর্মী থেকে শুরু করে স্কুল বাসের কর্মীদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ জরুরী। যেভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে সেই প্রেক্ষিতে আপাতত প্রাথমিক স্কুল গুলি খুলে পরিস্থিতি উপলব্ধি করার সময় এসেছে বলে মত তাদের। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বড়দের জন্য স্কুল খোলা যেতে পারে।
আইসিএমআর যেমন জানাচ্ছে ঠিক এমনই মন্তব্য করেছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনিও কার্যত একই বক্তব্য পেশ করেছেন এই বিষয়ে। জানিয়েছেন, দেশে এত দিনে বহু শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারবে না। এই প্রেক্ষিতে তিনি ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, দেশের যে সমস্ত জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম এবং যেসব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ন্যূনতম, সেই সমস্ত এলাকায় ধাপে ধাপে স্কুল খোলা যেতে পারে। কারণ পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের দিকে নজর দিতে হবে বলে স্পষ্ট করছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভারতীয় সেনার রিক্রুটমেন্ট ব়্যালি হবে সিমলায়
স্কুল খোলার জন্য শিশুদের ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ভয় বেড়ে যাবে এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে বহু শিশু রয়েছে যাদের ভাইরাসের সংস্পর্শে এসে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে শরীরে। তাই সেই প্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ তাদের শরীরে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে যদি স্কুল খোলার পর সংক্রমণ কোন ভাবে বৃদ্ধি হয় তাহলে স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে বলেও জানিয়ে রাখছেন তিনি।