কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম৷ তলানিতে বাংলার প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামো৷ অভাব মিড ডে মিলেও৷ তবুও, শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি অর্থ খরচে বাংলায় প্রথম শিক্ষা উৎসবের ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর৷ আয়োজনে ঘাটতি না থাকলেও আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্তরে অন্তর্ভুক্তি করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে!
প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্কুলগুলিতে যে অতিরিক্ত ক্লাসরুম প্রয়োজন, তা এখনও ব্যবস্থা করা যায়নি৷ পরিস্থিতি যা, তাতে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে আনতে গেলে এখনও প্রয়োজন ৬৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ৷ তবে, সেই ঘাটতি কবে মিটবে, তা নিয়েই চলছে চর্চা৷ কেননা, সরকার অর্থ বরাদ্দ করালেও আগামী দেড় মাসের মধ্যে তা শেষ করা কার্ত অসম্ভব বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ ফলে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকে আদৌ পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করা যাবে কি না, তা নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন৷
পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা বেশ কয়েক বছরের পুরানো৷ কিন্তু, নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হওয়ার আগে এত বিপুল সংখ্যক প্রাথমিক স্কুলে একটি বাড়তি ক্লাস নিয়ে আসার প্রক্রিয়াটা সহজ নয় বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল৷ ক্লাসরুম-সহ শিক্ষক ছাত্রের অনুপাতের বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ৷
জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে আনার বিষয়ে সরকার গত বছর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে৷ স্কুলের হাল-হকিকৎ খতিয়ে দেখে ওই কমিটি৷ কিন্তু, দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ কাজই বাকি নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ৷ ফলে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নয়া সিদ্ধান্ত আদৌ কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷