কলকাতা: মাধ্যমিকের প্রশ্ন পাচারকাণ্ডে ধৃত দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রও কি বাইরে থেকে উত্তর জেনে নিয়ে দু’বছর আগে মাধ্যমিকে পাশ করেছিল? এর উত্তর খুঁজছে সিআইডি। এই বিষয়ে সাহাবুল আমির ও সাহাবাজ মণ্ডলকে দীর্ঘ জেরা করা হয়। বিষয়টি তারা এড়িয়ে যাওয়ায় সন্দেহ আরও বেড়েছে তদন্তকারী অফিসারদের।
তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে অফিসাররা জানতে পারছেন, ধৃতরা যে প্রশ্নের ছবি তুলে বাইরে পাঠাচ্ছে, এই বিষয়টি পরীক্ষায় সময় তাঁরা শুনেছিলেন। এই নিয়ে তখন সাময়িকভাবে হইচই হলেও পরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। তা থেকে অফিসারদের অনুমান, এই কায়দায় শুধু ধৃতরাই নয়, আরও অনেকেই পাশ করে গিয়েছে। তারা কারা, তারই হদিশ করার চেষ্টা হচ্ছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র মোবাইলে ছবি তুলে হলের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার উত্তর পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের কাছে। বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নজরে আসার পরই তারা সিআইডির কাছে অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। যাদের মধ্যে দু’জন উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র।
জানা যায়, গ্রুপ তৈরি করে প্রশ্ন ও উত্তর পাঠানো হচ্ছিল। গ্রুপে ২৮ জন থাকার কথা উঠে এসেছে। তার মধ্যে দু’জনের নাম অভিযুক্তরা ডিলিট করে দেয়। ধৃতদের জেরা করে তাদের নাম ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে সিআইডির।