পরীক্ষা না পিছিয়ে জুলাইয়ে হোক উচ্চমাধ্যমিক, উঠছে দাবি শিক্ষক মহলে

পরীক্ষা না পিছিয়ে জুলাইয়ে হোক উচ্চমাধ্যমিক, উঠছে দাবি শিক্ষক মহলে

কলকাতা: করোনা সর্তকতা হিসাবে আগেই স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিল৷ এবার আনলক পর্বে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার সময়সীমা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও আদৌ কি আগামী প্রথম জুলাইয়ে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা নেওয়া হবে? জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পূর্বঘোষিত সূচি অনুসারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হোক, মত শিক্ষক মহলের একাংশের৷

আজ দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী৷  সেখানে করোনা সর্তকতা হিসাবে আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার মেয়াদ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কাজ আগের মতন চলবে৷ কিন্তু ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলে আদৌও কি আগামী মাসের শুরুতেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নেওয়া যাবে? এই নিয়ে জবাব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় বাকি বোর্ডের পরীক্ষার সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখছে শিক্ষা দফতর৷ একই সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টে পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলার রায়ের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে৷  উচ্চমাধ্যমিকে বাকি পরীক্ষা কীভাবে হবে, সমস্ত প্রস্তুতি রেখে পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে৷ তবে রাখা হচ্ছে প্রস্তুতি৷ সুপ্রিমকোর্ট ও অন্যান্য সর্বভারতীয় বোর্ডগুলি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ৷

পূর্বঘোষিত সূচি অনুসারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হোক, মত শিক্ষক মহলের একাংশের৷ এবিষয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিকের বাকি বিষয়ের পরীক্ষাগুলি স্বাস্থ্য বিধি মেনে সুপরিকল্পিত ভাবে ঘোষিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া ভালো৷ ইতিমধ্যে যেসব বিদ্যালয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে রাখার ব্যবস্থা ছিল, সেই মেয়াদ প্রায় শেষ হতে চলেছে৷ বহু বিদ্যালয় খালি হয়ে গিয়েছে বা কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে৷ বিদ্যালয়গুলি জীবাণুমুক্ত করে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা যায় অথবা যদি বেশ কিছু কলেজকে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়, যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয় থেকে খুব দূরে থাকেন তাঁদের কাছাকাছি এলাকায় ইনভিজিলেশন ডিউটি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়, তাহলে এই পরীক্ষা গ্রহণে তেমন কোন বড় অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷ পরীক্ষার দিন আর না পিছিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দফতর বাকি থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাগুলি গ্রহণ করার ব্যবস্থা করুক৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *