নয়াদিল্লি: শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা বা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট)-এর ফল। নিটের রেজাল্টে দেখা গেল মারাত্মক ভুল৷ অল ইন্ডিয়া টপারকে ব্যর্থ বলে ঘোষণা করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)৷
আরও পড়ুন- সুপ্রিম রায়ে এবার এমএড-রাও কলেজে অধ্যাপনার অধিকারি
নিট ২০২০ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর মৃদুল রাওয়াত নামে এক প্রার্থী দেখেন তিনি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন৷ ফল দেখে সন্দেহ হয় তাঁর৷ এর পরেই এনটিএ-র রেজাল্টকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি৷ পুনরায় তাঁর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে দেখা যায় এসটি বিভাগে নিট পরীক্ষায় সর্বভারতীয় টপার হয়েছেন তিনি৷ ১৭ বছরের মৃদুল রাওয়াত রাজস্থানের মাধোপুর জেলার গঙ্গাপুরের বাসিন্দা৷ ১৬ অক্টোবর নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিএ৷ মৃদুল দেখেন ৭২০-র মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ৩২৯৷ এর পরেই তিনি এনটিএ-র রেজাল্টকে চ্যালেঞ্জ জানান৷ পুনর্মূল্যায়নের পর দেখা যায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৫০৷ শুধু তাই নয়, তিনি এসটি ক্যাটাগরির মধ্যে অল ইন্ডিয়া টপার৷ জেনারেল ক্যাটাগরিতে তাঁর ব়্যাঙ্ক ৩,৫৭৭৷ তবে মৃদুলের দ্বিতীয় রেজাল্টেও একটা ভুল রয়েছে৷ প্রাপ্ত নম্বরের যোগফল ৬৫০ দেখানো হলেও, লেখা রয়েছে ‘অনলি থ্রি হানড্রেড টোয়েন্টি নাইন’৷
আরও পড়ুন- পুলিশ-কাকুর স্কুলে জীবন গড়ছে রাজধানীর ‘গরিব’ ভবিষ্যৎ
এদিকে, নিট পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পয়েছেন ওডিশার শোয়েব আফতাব এবং দিল্লির আকাঙ্খা সিং৷ তাঁদের উভয়েরই প্রাপ্ত নম্বর ৭২০৷ কিন্তু এনটিএ-র টাই ব্রেকিং নীতিতে প্রথম হয়েছেন শোয়েব এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আকাঙ্খা৷ নিট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করার পর শোয়েব বলেন, ‘‘লকডাউনের মধ্যে অনেকটা সময় পয়েছি৷ এই সময়ের মধ্যে আমার যাবতীয় সংশয় দূর করে নিয়েছি৷’’ শোয়েবের আদি বাড়ি কিন্তু হাওড়ার বাগনানে। তাঁর বাবা কর্মসূত্রে রাউরকেল্লায় থাকেন। সেখানেই বড় হয়ে ওঠা তাঁর। তবে ক্লাস ইলেভেনের পর শোয়েব জন্য চলে যান রাজস্থানের কোটায়। সেখান থেকেই রেকর্ড গড়েছেন এই বঙ্গতনয়। শোয়েব নিজেও নিজেকে বাঙালি বলতেই পছন্দ করেন৷ তিনি জানান, মাছ-ভাত ছাড়া তাঁর চলেই না।