আজ বিকেল: সারাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত প্রিন্টার কৌশিক কর। সেই তাকেই জয়েন্টের প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র তৈরির বরাত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সারদার উত্থানের সঙ্গেই এই সংস্থার আবির্ভাব ঘটেছে, কৌশিক কর ও ভারতী মিত্র দুজন মিলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারবার চালায়। তৃণমূলের আমলেই এদের বাজার বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারবার শুরু করে এরা। ২০১৮-তে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে কৌশিক করের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। ২০১১ থেকে রাজ্য রাজ করলেও কৌশিক করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার পরে।
এই সংস্থাকেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র ছাপার বরাত দিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি, তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কীকের এমন একটি ছাপাখানার হাতে জয়েন্টের প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব দেন। যখন সারা দেশেই কৌশিক করের সংস্থাকে কাতো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারপরেও পার্থবাবুর আশপাশে কেন কৌশিক করের ঘোরাফেরা, সব জেনেও কীকরে চোখ বন্ধ করে আছেন শিক্ষামন্ত্রী, জবাব চাইল বিজেপি।
ইউপি-তে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ১২ লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষা দেয়। সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হল, পরীক্ষার্থীদের কাছে ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হল সেই প্রশ্নপত্র। বি ব্লেসিংস, এনসি প্রিন্ট, ব্লেসিংস সিকিওরিটি প্রাইভেট লিমিটেড এই তিন সংস্থার মালিক কৌশিক কর। এরাই সারা দেশের ইউপিএসসি, পিএসসি, জয়েন্টের প্রশ্নপত্র ছাপায়, ওএমআর সিট ছাপায়। একেবারে সারদার সময় থেকেই ব্যবসায় উন্নতি করেছে এই কৌশিক কর। তৃণমূলের সল্টলেকের শ্রীগুরু প্রিন্টার হাইটেক সিকিওরিটির মালিক ঋষিকেশ কুণ্ডু তিনিও এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র জড়িত। বিধাননগরে অভিযোগ দায়ের হয় কৌশিক করের নামে তবে সেই অভিযোগ ধামাচাপাও পড়ে যায়। যদিও, এবিষয়ে শসকদল ও শিক্ষা দপ্তরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷