মুম্বই: আরজি কর কাণ্ডে যখন উত্তাল গোটা দেশ, তখন যৌন হেনস্থার শিকার দুই শিশু৷ নার্সারির দুই খুদে পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বদলাপুর। অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ভাঙচুর চালায় স্কুলে। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে রেল রোকো অভিযানে নামে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু স্কুলে ঠিক কী ঘটেছিল?
গত ১৩ অগাস্ট মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বদলাপুরে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেরদিন নির্যাতিত এক শিশু স্কুলে যেতে না চাইলেই সন্দেহ জাগে। শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করে তার বাবা-মা যে কথা জানতে পারেন, তাতে তাঁরা শিউরে ওঠেন। তড়িঘড়ি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেয়ের মেডিক্যাল টেস্ট করান। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা-মা৷ ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলার পর অপর নির্যাতিত শিশুর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়, সব শুনে তাঁরা আতকে ওঠেন৷
নির্যাতিতা ওই শিশু তাঁর পরিবারকে বলে, “দাদা আমার জামা খুলে দেয়। তারপর গোপনাঙ্গ স্পর্শ করে।” মেডিক্য়াল টেস্টে জানা যায়, শিশুটির হাইমেন (গোপনাঙ্গের পর্দা) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়৷
ওই শিশুর পরিবারের এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই যুবক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পরিচারকের কাজ করত। তার বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৫(২) ধারা (১২ বছরের কম বয়সীকে ধর্ষণ), ৭৪ ধারা (সম্মানহানির উদ্দেশে বলপ্রয়োগ বা নির্যাতন), ৭৫ ধারা (যৌন নির্যাতন), ৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
