কলকাতা : এবারেও পারলেন না তিনি, ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাঁর অধিনায়কত্বে এক ঝাঁক তরুণ তুর্কি প্রায় হাতে তুলে নিয়েছিল ট্রফি। কিন্তু ফাইনালে অজিদের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির ছেলেদের রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালের হেড কোচ বিশ্বকাপজয়ী রিকি পন্টিং। তবুও প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে ‘দাদা’ অর্থাৎ সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়োগ করেছিল। এবং সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেটার প্রমাণও দিলেন ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। তাঁর প্রখর ক্রিকেট মস্তিষ্ক নিয়ে কোনও সময়ই সন্দেহ প্রকাশ করেনি ক্রিকেট বিশ্ব।
২০০৩ সালেও তিনি অনামী, অখ্যাত কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রায় অসাধ্য সাধন করে ফেলেছিলেন। বীরেন্দ্র সহবাগ, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, মহম্মদ কাইফ, জাহির খান, পার্থিব প্যাটেল বা দীনেশ মোঙ্গিয়ার নাম তখন ঘরোয়া ক্রিকেটেও প্রায় আনকোরা ছিল। অথচ তাদের নিয়েই সৌরভ পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালে। এবারও আইপিএলে সৌরভের পরামর্শে তরুণ ব্রিগেড নিয়ে বাজিমাত করতে চেয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালের মালিকপক্ষ। পন্টিংকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শ্রেয়সদের টগবগে ঘোড়া বানিয়ে দিয়েছিলেন। কোনও বিতর্ক পাত্তা না দিয়েই প্রতি ম্যাচে ডাগ আউটে থেকে ম্যাচের স্ট্রাটেজি ঠিক করে দিয়েছেন। কিন্তু ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতোই এবারও কোয়ালিফায়ার হেরে স্বপ্নভঙ্গ হল দাদার।