নয়াদিল্লি: আমানতকারীরা ফের বিক্ষোভ দেখালেন রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে৷ আপাতত বন্ধ পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র কো অপারেটিভ ব্যাংকের লেনদেন৷ লেনদেন চালুর দাবিতে ফের সরব হয়েছেন গ্রাহকরা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন চুপ? ফুঁসছেন গ্রাহকদের একাংশ৷ বিপর্যস্ত আমানতকারীরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের পথ নেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই তাঁদের৷ সেই কারণে রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে তাদের বিক্ষোভ৷
পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাংক সংক্ষেপে পিএমসি বিভিন্ন সময়ে ঋণ দিয়েছে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থাকে৷ রিজার্ভ ব্যাংকের অভিযোগ, সংস্থাটি টাকা ফেরত দেয়নি৷ কিন্তু হিসাবের খাতায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন চেপে গিয়েছে বিপুল অনাদায়ী ঋণের হিসাব৷ এই অবস্থায় লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে রিজার্ভ ব্যাংক৷ বেনিয়ম ধরা পড়ার পর এক হাজার টাকার বেশি তোলা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পরে তা বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হলেও আমানতকারীদের বড় অংশ বলছেন, প্রয়োজনের সময় বাকি টাকা আটকে রাখা হচ্ছে৷ ব্যাংকের আমানতকারীর সংখ্যা ১৬ হাজার৷ এর আগে বারবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রাহকরা৷
মহারাষ্ট্রের অন্যতম বড় এই সমবায় ব্যাংকের বড় আমানতকারীদের মধ্যে পাঁচজন মারা গিয়েছেন সেপ্টেম্বরে৷ একজন আত্মহত্যা করেছেন৷ আমানতকারীরা বারবার উদ্বেগ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন৷ তবে বিজেপি মুখ খোলেনি৷ সংকটে জমা রাখা ১১ হাজার কোটি টাকা৷
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ব্যাংকে ১৬ হাজার আমানতকারী রয়েছেন৷ তাদের অনেকেরই ব্যবসা রয়েছে৷ সঞ্চয়ী আমানতের পাশাপাশি রয়েছে চলতি আমানত৷ টাকা তোলার সীমা চাপিয়ে ব্যবসায়ীদের কঠিন অবস্থায় ফেলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে৷ আর তাতে চূড়ান্ত সমস্যা হচ্ছে তাঁদের৷ সেই কারণে দফায় দফায় তাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে৷