নয়াদিল্লি: চালু হয়েছে নতুন আয়কর পোর্টাল৷ কিন্তু সেই পোর্টালের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে নানা সমস্যায় পড়ছিলেন করদাতারা। তাই শেষ পর্যন্ত আয়কর ফাইল করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয় আয়কর দফতর। ২০২১-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর ফাইলের বর্ধিত সময়সীমা ছিল৷ দেখা যায়, এই সময়সীমার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ২৫ লক্ষ আয়কর দাতা তাঁদের আয়কর ফাইল জমা করেছেন। নতুন পোর্টালেও গতি এসেছে৷
আরও পড়ুন- আগেই জরিমানা হয়েছিল, অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে এবার পেটিএম-কে বড় নির্দেশ
মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ট্যাক্স রিফান্ড-ও শুরু করে দিয়েছে আয়কর দফতর। আপনিও কি আয়কর দাখিল করেন? রিফান্ডের আশায় রয়েছেন? তাহলে জেনে নেওয়া যাক কেন রিফান্ড পেতে আপনার দেরি হচ্ছে এবং কী ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
এখানে বলা রাখা দরকার, শুধুমাত্র আইটি রিটার্ন দাখিল করলেই হয় না৷ আইটিআর ভেরিফাই করা অত্যন্ত জরুরি৷ অনলাইনেই আইটিআর ভেরিফাই করা যায়৷ নতুবা স্বাক্ষর করা ফাইল কপি বেঙ্গালুরুতে সেন্টারাইজড প্রসেসিং সেন্টার (CPC) -তে যাক যোগে পাঠাতে হয়। এখনও পর্যন্ত আইটিআর ভেরিফাই করে না থাকলে, দ্রুত করিয়ে ফেলুন। আয়কর দাখিলের ১২০ দিনের মধ্যেই কিন্তু এই ভেরিফাই করতে হয়।
আয়কর পোর্টালে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মেনশন করলেই যে সেখানে রিফান্ড ঢুকবে তা কিন্তু একেবারেই সঠিক নয়। সবার আগে দেখে নিতে হবে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় কিনা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেট করার জন্য আয়কর দাতা আয়কর পোর্টালে যে মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল আইডি দিচ্ছেন সেই মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে।
এছাড়াও গত বছরের কোনও ক্লেইম অমীমাংসিত ভাবে পড়ে থাকলে, তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এ বছরের আইটিআর পাওয়া সম্ভব নয়৷ এর জন্য ইনকামট্যাক্স পোর্টালে দেওয়া মোবাইল নম্বর ও ই-মেল চেক করতে হবে৷ কোনও কিছু পেন্ডিং থাকলে, তা আয়কর দফতরের তরফে সখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
আয়কর দফতরের তরফে আপনার বৈধ মোবাইল নম্বরে ও ই-মেল আইডি-তে বারবার মেসেজ বা নোটিশ পাঠিয়েও যদি কোনও উত্তর না পায়, তাহলে উক্ত বিষয়ে আয়করদাতার সম্মতি রয়েছে বলে ধরে নেবে দফতর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>