কলকাতা: পাখির চোখ শিল্প৷ আর সেই লক্ষ্য পূরণে ৩৫টি দেশের ৪ হাজার শিল্প সংস্থার আধিকারিকদের সামনে বাংলার শিল্প সম্ভবনার কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়ে দিলেন বাংলায় ভেঙে পড়া শিল্প বাঁচাতে উদ্যোগী তাঁর সরকার৷ এবার একনজরে দেখেনিন গত তিন বছরে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন মঞ্চ থেকে ঠিক কী কী উঠে এসেছিল?
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০১৬: দ্বিতীয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ৮ এবং ৯ জানুয়ারি ২০১৬। ওই সম্মেলন বিজনেস টু বিজনেস এবং গভর্ন্মেন্ট টু বিজনেসের ওপর জোর দেওয়া হয়৷ ভারতের ও ২৬টি অন্যান্য দেশের শীর্ষ শিল্পপতি, নেতা, মন্ত্রী এখানে আসেন। এই বিদেশের মধ্যে ছিল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইটালি, স্পেন, জার্মানি, জাপান, চীন, কোরিয়া, ভুটান, বাংলাদেশ ও অন্যান্য। ওই সম্মেলনের শিরোনাম ছিল ‘বেঙ্গল সার্জিং অ্যাহেড’। এই সম্মেলনে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব আসে।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০১৭: তৃতীয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২০ ও ২১ জানুয়ারি। তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই সম্মেলনের সূচনা করেন। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারী গোষ্ঠীকে এই রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আহ্বান করা। প্রথম দিন প্লেনারি সেশান অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে স্টার্ট আপ, উদ্যোগ, বহুজাতিক আলোচনা হয়। দ্বিতীয় দিনে আঠারোটি সেশান হয় এর মধ্যে ফোকাস সেক্টর নিয়ে ১১টি সমান্তরাল সেশান হয়। এছাড়া, এশিয়ার মানচিত্রে বাংলার উন্নয়ন নিয়ে, স্টার্ট আপ নিয়ে বিশেষ সেশন, জাতীয় সেশান, গোল টেবিল বৈঠক হয়। এই সম্মেলনে ২৯টি দেশ থেকে ৪০০০ প্রতিনিধি আসেন। জাপান, পোল্যান্ড, ইটালি ও জার্মানি এই সম্মেলনের পার্টনার ছিল। এই সম্মেলনে ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব আসে।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০১৮: চতুর্থ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সম্মেলনে ২০১৮ সালের ১৬ এবং ১৭ জানুয়ারি। জাপান, জার্মানি, ইটালি, পোল্যান্ড, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, ফ্রান্স, চেক রিপাবলিক, ইংল্যান্ড এবং আরব এই বছর পার্টনার ছিল। এই সম্মেলনে ১০৪৬টি বিজনেস টু বিজনেস এবং ৪০ টি বিজনেস টূ গভর্ন্মেন্ট বৈঠক হয়। এই সম্মেলনে ৩২টি দেশ থেকে ৪০০০ প্রতিনিধি আসেন। এই সম্মেলনে মুকেশ আম্বানি, লক্ষী মিত্তল, সজ্জন জিন্দাল, সঞ্জীব পুরী, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে চীন থেকে এক বড় প্রতিনিধিদল আসে এবং এর মধ্যে ছিল ৩০টি চীনা কোম্পানি। এই সম্মেলনে ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯২৫ কটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব আসে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ২০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।