নয়াদিল্লি: দেশে ও বিদেশে কালো টাকা মজুত নিয়ে চার বছর আগে রিপোর্ট জমা পড়লেও কালো টাকার কোন হিসেব দিতে রাজি নয় কেন্দ্র৷ তথ্যের অধিকার আইনে ‘কালো টাকা কত’ জানতে চাওয়া হলে ‘এই হিসেব দেওয়া যাবে না’ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী শ্রীবাস্তব৷
দেশে ও বিদেশে কত কালো টাকা রয়েছে তার হদিশ করতে ২০১১সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকার একটি কমিশন গঠন করে৷ সেই কমিশন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিন্যান্স অ্যান্ড পলিসি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ এই তিনটি সংস্থাকে সমীক্ষা চালিয়ে কালো টাকার রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেয়৷ তিনটি সংস্থাই চার বছর আগেই এনিয়ে রিপোর্ট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়৷
মন্ত্রী শ্রীবাস্তব বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত-সহ এই রিপোর্ট সংসদের সচিবালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে৷ সচিবালয় জানিয়েছে, আলোচনার জন্য এই রিপোর্ট গত বছর জুলাই মাসে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে৷ এর পরেই মন্ত্রী বলেন, এই রিপোর্টে উল্লিখিত কালো টাকা সম্পর্কিত তথ্য বাইরে প্রকাশ করা যাবে না৷ ফলে চার বছর আগে রিপোর্ট পেশ হলেও কালো টাকা সম্পর্কিত তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে আজও অজানা থেকে গেল৷ এই মুহূর্তে কালো টাকা কত রয়েছে, তার কোন সরকারি হিসাব নেই৷ তিনটি প্রতিষ্ঠান সমীক্ষা চালিয়ে যে কালো টাকার হিসেব পেয়েছে তাও গোপন রেখে দেওয়া হল৷ তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রশ্ন রাখা হলেও কালো টাকার এই তথ্য প্রকাশ করল না কেন্দ্র৷