নয়াদিল্লি: চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার মুখে, বার্ষিক করের বোঝা ঘাড় থেকে নামানোরও সময় হয়ে এসেছে। এই সময় আয়কর ছাড়ের প্রসঙ্গ মাথায় ঘোরাফেরা করতে শুরু করে। বিভিন্ন সঞ্চয় বীমায় বিনিয়োগ করে আয়কর ছাড়ের সুযোগ নিতে ব্যস্ত অনেকেই, তার আগে জেনে যাওয়া যাক টিক কোনপথে বিনিয়োগ করলে টাকাও ঘরে থাকল আবার বিনিয়োগে দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে পড়ল না।
প্রসঙ্গত, সরকারি, বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই এমন বহু প্রকল্প রয়েছে যেখানে আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন।তবে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে। পাশাপাশি জেনে নিতে হবে করছাড় কেমন পাচ্ছেন।এই বিষয়টি সাধারনত তিনটি ই, ‘ইইই’ (এগজেম্পটেড, এগজেম্পটেড, এগজেম্পটেড) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, দেখতে হবে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনার মূলধন করছাড় পাচ্ছে কি না (প্রথম ই), বিনিয়োগ থেকে পাওয়া সুদে করছাড় মিলছে কি না (দ্বিতীয় ই) এবং ম্যাচিওরিটি-র সময়ে মেলা সুদ-আসলের উপর কর দিতে হচ্ছে কি না (তৃতীয় ই)। যদি এই তিনটির মধ্যে কোনও ক্ষেত্রে করছাড় না মেলে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে ‘ই’ -এর জায়গায় লেখা হয় ‘টি।’ যেমন ‘ইটিই’, অর্থাৎ এখানে প্রাপ্ত সুদের উপর কর দিতে হয়। বিনিয়োগ করলে করছাড় মেলে এমন কিছু প্রকল্পের মধ্যে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম, পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ড, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, ব্যাংকে পাঁচ বছরের মেয়াদি জমা, এগুলি উল্লেখযোগ্য।
তবে খেয়াল করতে হবে, বাজারে চালু মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলিতেও লক-ইন পিরিয়ড ৩ বছর। কিন্তু তাদের ফান্ড ম্যানেজমেন্ট খরচ অনেক বেশি, বছরে প্রায় দেড় থেকে আড়াই শতাংশ। ফলে এনপিএস এখন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে তৈরি। করছাড়ের জন্য সরকারি ক্ষেত্রে আর একটি ভালো প্রকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ। ১৫ বছরের জন্য এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। করছাড় পেতে ব্যাঙ্কেও ৫ বছরের মেয়াদি জমার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এখানে সুদের হার কম, ৭ শতাংশের মত। ফের বিনিয়োগ করতে হলে ওই ৫ বছরের জন্যই করতে হবে। আর ঋণ নিতে গেলে একে কো ল্যাটারাল হিসেবে ব্যবহার করা যায় না।
বাজারে এখন খুব চলছে ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে টাকা ঢালা। করছাড় যেমন মেলে, তেমন সুদের হার বা রিটার্নও অনেক বেশি, প্রায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। তবে ঝুঁকিও অবশ্য বেশি। লক-ইন পিরিয়ড কমপক্ষে ৩ বছর। ম্যাচিওরিটির সময় টাকা ১ লাখের বেশি হলে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। অর্থাৎ, এটি ইইটি প্রকল্প।